সুজন কৈরী : [২] করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হলেও তা মানা হচ্ছে না রাজধানীর গাবতলি গবাদি পশুর হাটে। হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারা সবাই স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছেন। ব্যবহার করছেন না মাস্ক। এতে বাড়ছে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি।
[৩] সোমবার গাবতলি হাট ঘুরে দেখা যায়, গরু, ছাগল, মহিষসহ অন্যান্য গবাদি পশু বিক্রেতা ও বেপারিরা কোনো ধরনের নিরাপত্তা সামগ্রী ছাড়াই হাটে অবস্থান করছেন। হাটে ক্রেতা সমাগম কম থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে তারা আড্ডা দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে কোনো সামাজিক দূরত্ব মানার চিত্র চোখে পড়েনি।
[৪] এদিকে বেপারিদের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি হাটে আসা ক্রেতাদেরও। করোনা সংক্রমণের কারণে যেকোনো ধরনের উৎসব নিষিদ্ধ করার কারণে ব্যক্তিগতভাবে গবাদি পশু কেনার হার আগের তুলনায় অনেকাংশেই কমে গেছে। হাটের এখনকার মূল ক্রেতা রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের কসাই ও মাংস ব্যবসায়ীরা। হাটে পশু কিনতে আসা এসব মাংস বিক্রেতাদের বেশির ভাগই আসছেন মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ছাড়া। মানছেন না সামাজিক দূরত্বও।
[৫] স্থানীয়রা জানান, গাবতলি গবাদি পশু বিক্রির হাট কোরবানির আগে জমজমাট হয়ে উঠলেও এটি মূলত সারা বছরের হাট। বছরের প্রতিটি দিন এখানে লোক সমাগম হয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেও হাটে আগের তুলনায় ক্রেতা কমলেও লোক সমাগম ঠিকই আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সজীব সরকার জানান, হাটে জনসমাগম, আড্ডা আর কোনো নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়া চলাচলের চিত্র নিয়মিত। তিনি বলেন, ‘হাটে যারা থাকে তারা প্রতিদিনই এভাবে জড়ো হয়। কারো মধ্যে কোনো সামাজিক দূরত্ব থাকে না। বেশির ভাগ লোকজনই মাস্ক পরে না। চায়ের দোকান সব খোলা, আড্ডা চলে।’
গাবতলি এলাকার ট্রাক চালক সাদ্দাম হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘হাটের লোকজন কী করব, বসে চা-পানি খাই। এখন তো আমরাগোও ওইভাবে ট্রিপ নাই। বাসায় সারাদিন কী করুম। অনেকেই বিকাল থেকে হাটে আসে, বসে, গল্প গুজব করে। দূরে বইসা বইসা কি কথা কওয়া যায় নাকি! রোজা শুরুর পর থেকে ইফতারের পরই মানুষ বেশি আসে। কেউ কেউ হাটেই ইফতারি করে।‘ সূত্র : ঢাকা টাইমস
আপনার মতামত লিখুন :