শিরোনাম
◈ রিটার্ন না দেওয়া টিআইএনধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের নির্দেশ ◈ সকালে উঠেই এক লিটার পানি পান: কতটা উপকারী? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? ◈ তারেক-জুবাইদার দুর্নীতির মামলায় ‘ত্রুটিপূর্ণ বিচার’, পূর্ণাঙ্গ রায়ে খালাস হাইকোর্টে ◈ বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই তরুণীকে নিয়ে যা বললেন আহমাদুল্লাহ (ভিডিও) ◈ জুলাই স্মরণে ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে ফের প্রকম্পিত ঢাবি (ভিডিও) ◈ পর্যাপ্ত অর্থ ও হোটেল বুকিং না থাকায় কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ৯৬ বাংলাদেশি আটক ◈ বাড়ির নিচতলায় গ্যারেজে বসে চোখের পানি ফেলছেন, ছেলের বিরুদ্ধে মাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ ◈ ইংল‌্যা‌ন্ডের লর্ডসে ডুবলো ভার‌তের রণতরী, সিরিজে এ‌গি‌য়ে গে‌লো ইং‌রেজরা ◈ কানাডার টরন্টো শহরে ইসকনের রথযাত্রায় ডিম নিক্ষেপ, ঘটনায় ভারতের গভীর উদ্বেগ (ভিডিও) ◈ একটি দল লম্বা লম্বা কথা বলা ছাড়া সুকৌশলে চাঁদা ও হাদিয়া নেওয়া ছাড়া কোনো কাজ করে না: মির্জা আব্বাস

প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একজন কর্মী গার্মেন্টসে কাজ করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হলে তার ভরণ-পোষণ এবং চিকিৎসার খরচ কে বহন করবে?

মুশফিক ওয়াদুদ : আমি যেহেতু সিপিডিতে কিছুদিন কাজ করেছি, এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু লিখলে অনেকেই ভাবেন ক্ষোভ থেকে লিখছি। সিপিডি নিয়ে অনেক প্রশংসা যেমন করেছি এবং প্রশংসা করার অনেক কিছুই আছে, প্রতিষ্ঠানটিতে দক্ষ, যোগ্য কিছু গবেষক আছেন, তেমনি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে তার ভূমিকা নিয়ে কিছু প্রশ্নও আছে। একজন নাগরিক হিসেবে সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা নিজের দায়িত্ব বলে মনে করি। যদিও এমন প্রভাবশালী একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে কথা বলা নিজের ক্যারিয়ারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, তারপরও কিছু মানুষকে তো ঝুঁকি নিতেই হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে সিপিডির একটি বুদ্ধিবৃত্তিক অসততা আছে। এই সিভিল সোসাইটি থিংক ট্যাঙ্ক যখন ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় তখন বলেছিলো এর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে একটি অন্তর্ভুক্তমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যেখানে সমতা, ন্যায় বিচার, সততা এবং সুশাসন থাকবে। কিন্তু খুব নিকট অতীতে ফিরে তাকালে আমরা এর কোনোটিই প্রতিষ্ঠানটির কাজের সঙ্গে মিল পাই না। এই দেশে শ্রমিক শোষণ একটি বড় সমস্যা হলেও শ্রমিকদের স্বার্থ নিয়ে তার কোনো কাজ চোখে পড়ে না বরং মালিকদের মুখপাত্র হওয়ার প্রবণতা আছে বলে অনেকে মনে করেন। খুব সম্প্রতি আমরা দেখলাম এমন একটি সময়ে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ধীরে ধীরে খুলে দেওয়ার দাবি জানালো প্রতিষ্ঠানটি। যে সমাজে মহামারির সময়ে সবার জন্য ঘরে আবদ্ধ থাকার পরামর্শ, কিন্তু শ্রমিকের জন্য ফ্যাক্টরিতে কাজ করার পরামর্শ সেই সমাজ অবশ্যই অন্তর্ভুক্তমূলক নয়।
এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো বাংলাদেশে গার্মেন্টস কর্মীদের কোনো ইন্স্যুরেন্স নেই। কোনো একজন কর্মী গার্মেন্টসে কাজ করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হলে তার ভরণ-পোষণ এবং চিকিৎসার খরচ কে বহন করবে? বহু গার্মেন্টস কর্মী পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের কেউ একজন মৃত্যুবরণ করলে এই পরিবারের দেখভাল কে করবে? এই সব কোনো আলাপ নেই সুশীল সমাজের এই প্রতিনিধির। সিপিডি বলছে, কর্মীদের নিরাপত্তা এবং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে গার্মেন্টস খোলা উচিত। এই প্রতিষ্ঠানটি মনে হয় জানে না আমাদের গার্মেন্টসগুলোর কী ধরনের কর্ম পরিবেশ। সেখানে করোনা থেকে নিরাপদ থাকতে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা কতোটুকু সম্ভব? আমার সবসময়ের প্রশ্ন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে যেসব প্রতিষ্ঠান দাবি করে সেই সমাজের মধ্যে কি শুধু মালিকরা, শ্রমিকরা কি তাদের সমাজে নেই? সুশীল নাম দিয়ে শ্রমিকবিরোধী এসব প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলা শুরু করতে হবে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়