শিরোনাম
◈ বড় সুখবর ছুটি নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ◈ ফরিদপুরে মহাসড়কে হঠাৎ বিক্ষোভ, যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ  ◈ নিলামে আরও ৩৫৩ মিলিয়ন ডলার কিনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ কোনো চাপে নয়, ভারতের অনুরোধে ইলিশ পাঠানো হয়েছে: উপদেষ্টা ◈ বাংলা‌দে‌শের দুই আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সফল ◈ ভারতের ব্যাডমিন্টন তারকা জ্বালা গুট্টা এক‌টি হাসপাতা‌লে ৩০ লিটার স্তন্যদুগ্ধ দান করলেন ◈ হাসিনা বিরোধীদের দমন করতেন হিটলারের মতো: ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান ◈ যমুনা অভিমুখে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা, পুলিশের জলকামান–সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ (ভিডিও) ◈ বিবিএসের নামসহ বদলে যাচ্ছে অনেক কিছু, আসছে আমূল পরিবর্তন ◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও গভীর বাণিজ্যিক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একজন কর্মী গার্মেন্টসে কাজ করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হলে তার ভরণ-পোষণ এবং চিকিৎসার খরচ কে বহন করবে?

মুশফিক ওয়াদুদ : আমি যেহেতু সিপিডিতে কিছুদিন কাজ করেছি, এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু লিখলে অনেকেই ভাবেন ক্ষোভ থেকে লিখছি। সিপিডি নিয়ে অনেক প্রশংসা যেমন করেছি এবং প্রশংসা করার অনেক কিছুই আছে, প্রতিষ্ঠানটিতে দক্ষ, যোগ্য কিছু গবেষক আছেন, তেমনি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে তার ভূমিকা নিয়ে কিছু প্রশ্নও আছে। একজন নাগরিক হিসেবে সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা নিজের দায়িত্ব বলে মনে করি। যদিও এমন প্রভাবশালী একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে কথা বলা নিজের ক্যারিয়ারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, তারপরও কিছু মানুষকে তো ঝুঁকি নিতেই হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে সিপিডির একটি বুদ্ধিবৃত্তিক অসততা আছে। এই সিভিল সোসাইটি থিংক ট্যাঙ্ক যখন ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় তখন বলেছিলো এর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে একটি অন্তর্ভুক্তমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যেখানে সমতা, ন্যায় বিচার, সততা এবং সুশাসন থাকবে। কিন্তু খুব নিকট অতীতে ফিরে তাকালে আমরা এর কোনোটিই প্রতিষ্ঠানটির কাজের সঙ্গে মিল পাই না। এই দেশে শ্রমিক শোষণ একটি বড় সমস্যা হলেও শ্রমিকদের স্বার্থ নিয়ে তার কোনো কাজ চোখে পড়ে না বরং মালিকদের মুখপাত্র হওয়ার প্রবণতা আছে বলে অনেকে মনে করেন। খুব সম্প্রতি আমরা দেখলাম এমন একটি সময়ে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ধীরে ধীরে খুলে দেওয়ার দাবি জানালো প্রতিষ্ঠানটি। যে সমাজে মহামারির সময়ে সবার জন্য ঘরে আবদ্ধ থাকার পরামর্শ, কিন্তু শ্রমিকের জন্য ফ্যাক্টরিতে কাজ করার পরামর্শ সেই সমাজ অবশ্যই অন্তর্ভুক্তমূলক নয়।
এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো বাংলাদেশে গার্মেন্টস কর্মীদের কোনো ইন্স্যুরেন্স নেই। কোনো একজন কর্মী গার্মেন্টসে কাজ করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হলে তার ভরণ-পোষণ এবং চিকিৎসার খরচ কে বহন করবে? বহু গার্মেন্টস কর্মী পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের কেউ একজন মৃত্যুবরণ করলে এই পরিবারের দেখভাল কে করবে? এই সব কোনো আলাপ নেই সুশীল সমাজের এই প্রতিনিধির। সিপিডি বলছে, কর্মীদের নিরাপত্তা এবং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে গার্মেন্টস খোলা উচিত। এই প্রতিষ্ঠানটি মনে হয় জানে না আমাদের গার্মেন্টসগুলোর কী ধরনের কর্ম পরিবেশ। সেখানে করোনা থেকে নিরাপদ থাকতে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা কতোটুকু সম্ভব? আমার সবসময়ের প্রশ্ন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে যেসব প্রতিষ্ঠান দাবি করে সেই সমাজের মধ্যে কি শুধু মালিকরা, শ্রমিকরা কি তাদের সমাজে নেই? সুশীল নাম দিয়ে শ্রমিকবিরোধী এসব প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলা শুরু করতে হবে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়