সোহেল রহমান : [২] জাতীয় পর্যায়ের নীতি নির্ধারণী কাঠামোতে শ্রমিকদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে কৌশল প্রণয়নের সুপারিশ
[৩] ‘কোভিড ১৯ : সঙ্কটের মুখে শ্রমিক ও মালিক : সরকারি উদ্যোগ ও করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিং-এ বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ’ (সিপিডি) এ সুপারিশ করেছে।
[৪] সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, চলামান মহামারির কারণে রপ্তানি আয়ের ওপর যে প্রতিঘাত পড়েছে এর ফলে শ্রমিকদের জীবনমানের ওপর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এই সমস্যা নিরসনে বিজিএমইএ ও শ্রমিকদের মধ্যে যথাযথ সমন্বয় প্রয়োজন। দেরিতে বেতন প্রদান, পূর্ণাঙ্গ বেতন না হওয়া, শ্রমিক ছাঁটাই ও লকডাউনে কারখানা খোলা রেখে শ্রমিকদের কাজে বাধ্য করার মতো ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে শ্রমিকরা ও তাদের পরিবার এই দুর্যোগের মধ্যে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। একইসাথে, করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কারখানাগুলোতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। রানা প্লাজার ঘটনা বিবেচনায় রেখে দেশের কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের জন্য দুর্যোগকালীন সেবার ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।
[৫] সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বৈশ্বিক এই মন্দায় পোশাক খাতের কার্যাদেশগুলো যেন অন্য দেশগুলোতে চলে না যায়, সেজন্য উদ্যোক্তাদেরকে ক্রেতাদের সঙ্গে দরকষাকষি অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে আপাত এই সংকট কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সকল পক্ষকেই সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
[৬] বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি আরশাদ জামাল দীপু বলেন, এখন আমরা একটি বৈশ্বিক সংকটের মুখে পড়েছি। এজন্য হয়তো কিছু সমন্বয়ের ঘাটতি দেখা গিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তা ও কারখানা মালিকরা দেশের আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের পর্যাপ্ত সহযোগিতা করবে।