সুজন কৈরী: [২] আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও করোনা সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের নিজেদের সুরক্ষিত রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
[৩] ইতিমধ্যে সুরক্ষা সামগ্রী কেনার জন্য বিভিন্ন ইউনিটকে পর্যাপ্ত আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। সুরক্ষা সামগ্রী দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো শৈথিল্য দেখানো যাবে না। পুলিশ সদস্যদের জন্য ভিটামিন সি, ডি এবং জিংক ট্যাবলেট কেনা হচ্ছে। শিগগিরই তা বিভিন্ন ইউনিটে পাঠানো হবে।
[৪] আইজিপি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক প্রান্তিক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়তে পারে। অনেকে অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বাড়তে পারে। এ ধরনের অপরাধ দমনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশ অনেক ভালো কাজ করছে, পুলিশের অনেক অর্জন রয়েছে। এ অর্জন কোনো ভাবেই ম্লান হতে দেয়া যাবে না।
[৫] পুলিশ প্রধান বলেন, কেউ যেন ধর্মীয় উস্কানি, গুজব এবং করোনা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে, সে বিষয়ে তৎপর থাকতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। জঙ্গিরা যেন কোনো ভাবেই কোনো তৎপরতা চালাতে না পারে, সে ব্যাপারে তৎপর থাকতে হবে।
[৬] আইজিপি বলেন, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থাও করতে হবে। করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের অন্য হাসপাতালগুলোতেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা হচ্ছে। এছাড়া দেশের ৫টি বিভাগে চিকিৎসার আয়োজন করা হচ্ছে। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের ঢাকায় যে চিকিৎসা দেয়া হবে, একই চিকিৎসা বিভাগীয় হাসপাতালেও দেয়া হবে। তাদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে সকল পুলিশ সদস্য কোয়ারেন্টিনে, আইসোলেশনে এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাদের নিয়মিত খোঁজখবর নিতে ইউনিট প্রধানদের নির্দেশ দেন তিনি। তাদের প্রার্থনা, বিনোদন ও বই পড়ার ব্যবস্থা করার জন্যও নির্দেশ দেন আইজিপি। তিনি বলেন, শুধু আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের নয়, তাদের পরিবারেরও খোঁজখবর নিতে হবে, যেন তারা নিজেদের একা মনে না করেন।