সাইদ রিপন: [২] তেল ও গ্যাস ব্যতীত এখন পর্যাপ্ত দেশে আবিষ্কৃত প্রধান খনিজ সম্পদগুলো হলো কয়লা, পিট, কঠিন শিলা, খনিজ বালু, সাদামাটি, সিলিকাবালু, সাধারণ পাথর/বালি মিশ্রিত পাথর ইত্যাদি। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) বর্তমানে এসকল খনিজ পদার্থের অনুসন্ধান লাইসেন্স, খনি ইজারা ও কোয়ারি ইজারা দিচ্ছে।
[৩] বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ইট তৈরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জ্বলানি হিসেবে কয়লার ব্যবহার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত কয়লা ক্ষেত্রের সংখ্যা ৫টি। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএমসিএল) এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী মজুদের পরিমাণটি উল্লেখ আছে।
[৪] খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর (বিএমডি) তথ্য মতে, দেশে বর্তমানে সাধারণ পাথর/বালু মিশ্রিত পাথর ৮০২ মিলিয়ন ঘনফুট মজুদ রয়েছে। দেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট ও বান্দরবান পার্বত্য জেলার সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমির পাথর কোয়ারিসমূহকে গেজেটভুক্ত করা হয়েছে।
[৫] বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, সিলেট ও মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওড়, মাদারীপুর-গোপালগঞ্জে বাঘিয়া চান্দা বিল, বাগেরহাটের কোলামৌজা, সুনামগঞ্জের দিরাই ও সাল্লায় পিট আবিষ্কার করেছে। বর্তমানে আবিষ্কৃত পিটের মজুদ রয়েছে ৬০০ মিলিয়ন টন। যার বাজার মূল্য ১৮ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
[৬] খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর হিসেব মতে, দেশে কঠিন শিলার মজুদ রয়েছে ১৭১ মিলিয়ন টন যা উত্তোলনযোগ্য। ২০০৭ সাল থেকে এ খনিজ সম্পদ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়, যা অব্যাহত রয়েছে।
[৭] বিএমডি’র সর্বশেষ তথ্য মতে, দেশে ৩৩২ দশমিক ২৮ হেক্টর জমিতে গেজেটভুক্ত সিলিকা বালু কোয়ারি রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :