ইসমাঈল আযহার: [২] কাশ্মীপর পরিস্থিতির কারণেই ভারতের সাংবাদিকদের স্বাধীনতা বিশ্ব-তালিকায় আরও দুই ধাপ নেমে এসেছে। প্যারিস-ভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স এ তথ্য জানিয়েছে। আনন্দবাজার
[৩] সংস্থাটি ১৮০টি দেশের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে যে তালিকা এ বছর প্রকাশ করেছে, ভারত তাতে ১৪২ নম্বরে।রিপোর্টে জোড়ালোভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৯-সালের কাশ্মীর-পরিস্থিতির কারণেই ভারতের এই পতন।
[৪] সংস্থাটি বলছে, ‘বিশাল এলাকা জুড়ে মুক্ত কারাগার। সেখানে কী ঘটে গেছে সাংবাদিকদের পক্ষে তা জানানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’
[৫] মোদী সরকার গত অগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার সময় থেকেই জম্মু-কাশ্মীরকে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছিল। রিপোর্টে সে কথাই তুলে ধরা হয়েছে- সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘন নিরন্তর ঘটছে। সাংবাদিকদের ওপরে রাজনৈতিক কর্মীদের হামলা, দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্তা বা দুষ্কৃতীদের প্ররোচনায় বদলা নেওয়ার ঘটনা ঘটছে।’
[৬] হিন্দুত্ববাদীদের চাপের কথাও বাদ পড়েনি রিপোর্ট থেকে। বলা হয়েছে, ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকারের সুরে সুর মিলিয়ে চলার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। হিন্দুত্ববাদীরা হিন্দু জাতীয়তাবাদ জাগিয়ে তুলেছে। জাতীয় স্তরের যে কোনও বিতর্ককেই তারা রাষ্ট্রবিরোধী তকমা দিচ্ছে। হিন্দুত্ববাদীদের অপছন্দের কিছু বলা বা লেখার সাহস করেন যারা, সুপরিকল্পিত ভাবে সেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমগুলিতে। তিনি মহিলা হলে তো আক্রমণের হুল তীব্র হচ্ছে আরও।’