মাসুদ হাসান : [২] করোনাকে ভয় না পেয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। শরীর এবং মনকে সুস্থ রাখা প্রয়োজন। [৩] তিনি বলেন, বেশি বেশি মনের যতœ করতে হবে, শরীর চর্চার মাধ্যমে মন সুস্থ রাখা যায়। অনেকেই ভাবে থাকেন শরীর চর্চা করলে শুধু শরীর ভালো থাকে, তা কিন্তু নয়। বিজ্ঞানীদের কথা শরীর চর্চা করলে মনেরও অনেক উপকার হয়। আমাদের মনের স্বাস্থ্য ভালো হয়। শরীর চর্চার মাধ্যমে আমাদের আমাদের এনজাইটি কমে যায়, আমাদের চিন্তা কমে যায় আমাদের চিন্তামুক্ত থাকার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
[৪] আমাদের মনের স্বাস্থ্য ভালো থাকার ফলে আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। [৫] যেহেতু করোনাভাইরাস একটি অসুস্থতা, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকলে করোনাভাইরাস খুব সহজে আক্রান্ত করতে পারে না। [৬] এর পর বলবো মেডিটেশনের কথা। মেডিটেশন অনেকেই করে থাকেন। মেডিটেশন করার ফলে আমাদের মন ভবিষ্যতেও যায় না, অতীতেও যায় না। মনের একটি ধর্ম হচ্ছে ছোটাছুুটি করা। কখনো ভবিষ্যতে, কখনো অতীতে, বর্তমানে থাকতেই চায় না। মেডিটেশন করার ফলে আমাদের মনকে আমরা বর্তমানে ধরে রাখতে পারি। সব অনুভূতি, আবেগ, দুঃখ, বেদনাকে আমরা বর্তমানে ধরে রাখতে পারি। শরীর মনকে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিতে পারি। তাতে করে আমাদের যে শক্তি তৈরি হচ্ছে তা কাজে লাগাতে পারি। মস্তিষ্ককে বর্তমানে ধরে রাখার একটি অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। কাজেই প্রতিদিন মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন করা প্রয়োজন সুস্থ থাকার জন্য। এই মেডিটেশনের মাধ্যমে, আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয় সচল থাকে। সেই ইন্দ্রিয়গুলোর কথা ভেবেই মেডিটেশনের ডিজাইন করা হয়েছে। [৭] পরিবারের সবার সঙ্গে আড্ডা দেওয়া যেতে পারে, বিভিন্ন ঘরোয়া খেরাধুলার মাধ্যমেও সময় পার করা যায়, খেলাধুলা করলে মন আনন্দে থাকে। [৮] তা ছাড়া আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে খোঁজখবর নেওয়ার মাধ্যমেও মনকে ভালো রাখা যায়। [৯] এক সাইকোলজিস্ট বলেছেন মানুষ চিন্তা করে, যখন মনটা একেবারে ভেঙে যায়, তখন মানুষ ভাবতে থাকেন কাকে কী দেওয়া যায়, কাজেই কাউকে কিছু দেওয়ার যে শান্তি স¦স্তি পাওয়া যায় সেটি কিন্তু আমরা এখন অনুভব করতে পারি। সর্বোপরি বলতে চাই, সৃষ্টিকর্তা সব ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে আত্মাকে শুদ্ধ করা যায়, মনের শান্তি আনা যায়। [৯] নিজে ভালো থাকুন অন্যকে ভালো রাখার চেষ্টা করুন, নিজে ভালো থাকলে অন্যকে ভালো রাখা যায়। সূত্র : স্কয়ার টয়লেট্রিজ লি.