নজরুল ইসলাম: [৩] কোটালীপাড়ার ইউএনও এস. এম. মাহফুজুর রহমান বলেন, রোববার অনলাইনভিত্তিক এ বাজার (www.tarmuzbazar.com) চালু করা হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম ছাড়াই সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিতভাবে বাজার পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে। যেখানে গত কয়েকদিনের কেনাবেচা ছিল প্রায় শুন্য, সেখানে আগেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করায় প্রথম দিনেই ৩৮টি কেনাবেচা হয়েছে। যার মাধ্যমে মোট ৯৯,১০৬টি বাঙ্গি বিক্রি করা হয়, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা।
[৪] ইউএনও বলেন, বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে ঘোষিত লকডাউনের কারণে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় আবাদ করা প্রায় ১০০০ হেক্টর জমির তরমুজ ও বাঙ্গির বাজার বন্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দেয়। গত কয়েকদিন ধরে ক্রেতা সংকটে বাজারে বেচাকেনা বন্ধ হয়ে গেলে চাষিরা চরমভাবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কোনও কোনও চাষি গোপনে বাইরের ক্রেতা বা পরিবহন এনে ভীতসন্ত্রস্তভাবে বিক্রির চেষ্টা চালাতে থাকে, যা বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
[৫] মাঠ প্রশাসনের এই কর্মকর্তা বলেন, চাষিদের এই সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে উত্তরণের উদ্দেশ্যেই অনলাইনভিত্তিক বাজার চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। স্থানীয় কৃষক বা বিক্রেতাদের সঙ্গে এবং তাদের পরিচিত ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনলাইন মার্কেট সম্পর্কে অবহিত করা হয়। তাদের সবাইকে আশ্বস্ত করা হয় এবং দ্রুততার সঙ্গে একটি ওয়েবসাইট ডেভেলপ করা হয়।
[৬] তার মন্তব্য, বৈশ্বিক মহামারী পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করেই প্রযুক্তিনির্ভর এ উদ্যোগের ফলে চাষিদের হারিয়ে যাওয়া হাসি যেমন ফিরে আসছে, তেমনি সমৃদ্ধশালী হচ্ছে গ্রামীন অর্থনীতি।