মাহমুদুল আলম : [২] দেশব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী মজুদ করার প্রবণতায় অস্বাভাবিক চাহিদা তৈরি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বেড়ে চলছিল নিত্যপণ্যের দাম। এর সঙ্গে এবার রমজানকে সামনে রেখে এসব পণ্যের দাম আরেকদফা বাড়ছে।
[৩] রমজান শুরু হতে আর বাকি আছে এক সপ্তাহেরও কম সময়। এই সময় মানুষের সাধারণ প্রবণতা হচ্ছে রোজা শুরুর আগেই পুরো মাসের বাজার করে নেয়া। সে কারণে একই সময়ে চাহিদা বেশি থাকার সুযোগে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয় পাইকারি থেকে খুচরা বাজারের প্রায় সব ব্যবসায়ীই।
[৪] তবে এবার পণ্যের দাম বাড়াতে বাড়তি ছুঁতো হিসেবে ব্যবসায়ীরা দেখাচ্ছেন পরিবহন সংকট। যদিও সাধারণ ছুটিতে বা করোনার কারণে পরিবহন বন্ধের ঘোষণা থাকলেও এর আওতার বাহিরে রাখা হয়েছে খাদ্যপণ্যবাহী গাড়ি।
[৫] তাছাড়া অনেক মানুষ পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে এমন শংকায় অন্যান্য বছরের রমজানের আগের সপ্তাহের তুলনায় এবার এই সপ্তাহে কিনছেন বেশি। সে কারণে আরও বেশি চাহিদা তৈরি হচ্ছে নিত্যপণ্যের। আর এই সুযোগকেও কাজে লাগাচ্ছে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা।
[৬] রোববার এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে একাত্তর টিভিতে বলা হয়, গত সপ্তাহে এলাচের দাম ছিল কেজি প্রতি ৪৫০০ টাকা, বর্তমানে যা ৫০০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম দ্বিগুণ হয়ে হয়েছে ৩০০ টাকা। ছোলার দাম ৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৭৫ টাকা। গত সপ্তাহ থেকে খেসারি ডালের দাম প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বেড়ে ৭০ টাকা থেকে হয়েছে ৯৫ টাকা। মসুর ডালের দামও এক-তৃতীয়াংশ বেড়ে হয়েছে ১২০ টাকা। পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা থেকে হয়েছে ৬০ টাকা।
[৭] এই অবস্থায় রোববার বাজার তদারকিতে নামে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তারা রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর বাজার ও আগারগাঁও বাজার পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা মূল্যতালিকা না টানানোর কারণে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন।
[৮] পরিদর্শনে আসা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনজুর মো. শাহরিয়ার এ সময় সাধারণ ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে গণমাধ্যমকে বলেন, নিত্যপণ্যের যথেষ্ট পরিমাণ মজুদ আছে। তাই অহেতুক বেশি বেশি পণ্য কিনে অস্বাভাবিক চাহিদা সৃষ্টির না করার আহ্বান জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :