মনিরুল ইসলাম : [২] এভাবেই সরকারি খাদ্য সহায়তা পাননি বলে ক্ষোভের সাথে জানালেন বয়স্ক নাজমা বিবি। তিনি মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প বাসিন্দা। গৃহস্থালির কাজ করেন। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা বিহারী কাজ করে খায়। কারো কাছে পারতে হাত পাতি না। গত ১৫ দিন ধরে ঘরে বন্দী। যে বাসায় কাজ করতাম করোনার কারণে যেতে মানা করে দিয়েছে। তাই যাই না। এখন খুবই কষ্টে আছি। ২/৩ বার নাম লিখে নিয়ে গেছে ত্রাণ এখনো আসে পাই নাই।
[৩] তবে আমজাদ নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, অন্য কথা। তিনি রিকসা চালান। বলেন, রিলিফ দিবে বলে লোকজন এসে নাম লিখে গেছে। আমরা পেলাম না। আমার বাসার আশপাশের লোকেরা পেলো। জানতে চাইলাম কোন জবাব মিললো না। কারা ত্রাণ দিয়েছে এরজবাবে বলেন, শুনেছি রাষ্টান কমিশনারের লোকজন। একই কথা বললেন সিএনজি চালক মনু খান। বললেন, আমার পরিবার কিছুই পাচ্ছে না। যারা নাম লিখেন তারা মুখ দেখে তালিকা করেন।
[৪] মোহাম্মদপুরের ২ লাখ ৩৫ হাজার বর্গ ফুটের জেনেভা ক্যাম্পে ১০ হাজারের ওপর মানুষ বসবাস করে। মোহাম্মদপুরে আরো রয়েছে ৫টি ক্যাম্প। এতে বসবাস করে আরও আড়াই হাজার পরিবার। ক্যাম্পে বসবাসকারী ৮০ ভাগ মানুষ নিন্ম আয়ের। দিনে আনে দিনে খায়। একদিন কাজ না থাকলে তাদের কষ্টের সীমা নাই।
[৫] মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের রহিম কাবাবের মালিক শমসের আলী সুমন জানান, করোনার কারণে এই সময়ে জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দারা খুবই দুর্বিষহ জীবন চালাচ্ছেন । ক্যাম্পের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষের একদিন কাজ না করলে চুলায় আগুন জ্বলে না। এখন পর্যন্ত সরকারি ত্রাণ এই ক্যাম্পে পৌঁছেনি বলে জানান তিনি। তবে বেসরকারিভাবে সহস্রাধিক পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে বলে জানান।
আপনার মতামত লিখুন :