সুজন কৈরী : [২] আইইডিসিআরসহ জাতীয় বিভিন্ন হটলাইন নম্বরে ফোন দিয়ে নারী অপারেটদেরকে উত্যক্ত করার অভিযোগে মঙ্গলবার কুস্টিয়ার ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে এক কিশোরকে আটক করেছে সিআইডির সাইবার ক্রাইম ইউনিট।
[৩] রাজধানীর বননী থানায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন এবং পর্ণোগ্রাফী আইনে দুটি মামলা দায়েরের পর কুস্টিয়া জেলা পুলিশ এবং সিআইডির কর্মকর্তারা যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে আটক কিশোর প্রতিনিয়ত হটলাইনে নারীকর্মীদের হয়রানিসহ অশ্লীল কথা ও বার্তা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছে।
[৪] সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আলম জানান, করোনা সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য-পরামর্শ এবং সময়োপযোগী সেবা দেয়ার জন্য চালু করা হয় বেশকিছু হটলাইন নম্বর। এসব হটলাইনে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে পরামর্শ এবং তথ্য সেবা দেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু অনেক কলারই অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে প্রশ্ন করছেন। বিশেষ করে হটলাইনে কোনো নারীকণ্ঠ শুনলেই কোনো কোনো কলার অশ্লীল কথা বলেন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। কুষ্টিয়ায় আটক কিশোর আইইডিসিআর, স্বাস্থ্য বাতায়ন, জাতীয় তথ্য সেবা বাতায়নসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী টোল ফ্রি হটলাইন নম্বরে কল করে ও বার্তা পাঠিয়ে নারীকর্মীদের কুপ্রস্তাব দেয়। কোনো কোনো হটলাইন নম্বরে শতাধিকবারও কল দেয়।
[৫] খায়রুল আলম বলেন, কিশোরের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি তার বাবার নামে রেজিস্ট্রেশন করা। অল্প বয়সী ছেলেকে মোবাইল কিনে দিলেও কী কাজে মোবাইলের ব্যবহার হচ্ছে, তার খোঁজ বাবা রাখেননি। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ কিশোরের বাবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
[৬] সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, এসব অবাঞ্ছিত কলের কারণে অহেতুক জরুরি এসব নম্বর ব্যস্ত থাকে। এর ফলে আসলেই যার তথ্য বা সেবা দরকার, তিনি সঠিক সময়ে সেবাটি পাচ্ছেন না। মার্চের প্রথম থেকেই করোনা সংক্রান্ত গুজব প্রতিরোধসহ দেশের জনগণ যাতে কাক্সিক্ষত সেবা পায় এ বিষয়ে সিআইডির সাইবার পুলিশ কাজ করছে।