এইচএম দিদার(দাউদকান্দি, কুমিল্লা): [২] দেশের আঠারো জেলার লকডাউনের কারণে নিরুপায় হয়ে ধুকে ধুকে বোবা কান্নার ভাবনায় চরম দিশেহারা ও নিরুপায় হয়ে দিন-রাত পার করছেন কিছু কিছু শ্রেণির মানুষ ।চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায়
[২] কর্মহীন থেকে শুরু করে কর্মজীবীরাও আজ খাদ্য চাহিদা যোগানের ভাবনায় অস্থির। বাজার সদাই করে পরিবারের ভরন-পোষনে হিমশিম খাচ্ছে।বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রচন্ড বিধ্বংসী আঘাতের কারণে বর্তমান এই পরিস্থিতিকে করোনার সংক্রমণের চেয়েও ভয়াবহতা মনে করছেন নিম্ন আয়ের ও মধ্যম আয়ের মানুষেরা। দেশের দৃশ্যমান পরিস্থিতে
[৩] করোনায় যতোটা না কুপোকাত হবে তারচেয়েও বেশি কুপোকাত হয়ে চোখে মুখে বিষণ্ণতা,উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার ছাপ মুখে নিয়ে দাউদকান্দির পৌরশহরের জাহাঙ্গীর নামের এক অটোচালক বলেন," ভাই কিছু কিন্না খামু সেই টাকা পয়সা নাই,ঘরের চাল শেষ হইছে। এহন কেমনে ভাত খামু,কেমনে চলমু।পারলে কিছু সাহায্যে (ত্রাণের) ব্যবস্থা কইরা দেন।"
[৪] আরেক অটোচালক কামাল বুকে কষ্ট,চোখে করুণ সজল,মুখে বিষণ্ণতার বিষাদ ছাপ, মন কাড়া ভাষার বিগলিত কন্ঠে বলেন,"ভাই কামকাজ নাই,ঘরে বইসা থাহি,গাড়ি চলা নিষেধ থাকায় গাড়ি নিয়া রাস্তায় বাইর হইতে পারি না। পরিবার নিয়া চলার পথ দেখি না। তিনি আরো বলেন," করোনা হইলে হোক ভাই আমরা কাম কইরা ভাত খাইতে চাই।"
এ বিষয়ে আঘাম কী করণীয় জানতে কথা হয় সমাজকর্মী ইসলাম মো. তৌফিকের সাথে তিনি জানান, "আপনার- আমার আগাম যাকাতের অর্থ দিয়ে হলেও মানুষগুলোকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন। অহসায় মানুষরা অন্তত দ'বেলা খেয়ে হলেও জীবন বাঁচাতে পারবে।"
আপনার মতামত লিখুন :