মনিরুল ইসলাম : [২] আসন্ন ১৮ এপ্রিলের জাতীয় সংসদের ৭ম অধিবেশনে স্বইচ্ছায় যোগ দিতে সংসদ সদস্যদের অনুরোধ করা হয়েছে। সিনিয়র সদস্যদের যোগদানের ব্যাপারে সর্তক থাকতে আহ্বান করেছি। তবে নিরুৎসাহিত করা হয়নি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণেই এই সর্তকতা বললেন, সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।
[৩] চীফ হুইপ এ প্রতিবেদককে বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ডাকা হয়েছে এ সংসদ অধিবেশন। তিনি বলেন, সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী চলতি সংসদের কোনো সংসদ সদস্যের মুত্যু হলে তার ওপর অধিবেশনের শুরুতে শোক প্রস্তাব উথাপিত হয়। আলোচনা ও মোনাজাত করা হয়। শোক প্রস্তাব পাসের পর মূলতবী করা হয়। এবারও এ নিয়মেই চলবে। তবে কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে স্থির হবে আসন্ন অধিবেশনটি কতক্ষন চলবে।
[৪] তিনি বলেন, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেকমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু ভাই গত ২ এপ্রিল ইন্তেকাল করেছেন। রেওয়াজ মেনে তার ওপর শোক প্রস্তাব আসবে। আলোচনা হবে।
[৫] এদিকে, সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, অধিবেশন শুরু হয়ে মাগরিবের নামাজের বিরতিতে শেষ হয়ে যাবে। গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ কাভারে পাস কার্ড ইস্যু করা হবে না। সংসদ বাংলাদেশ টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা থেকে তারা নিউজ সংগ্রহ করবেন। দর্শণার্থী পাসও বন্ধ থাকবে। স্বল্প সংখ্যক সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংসা অধিবেশনের কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
[৬] সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ডাকা চলতি একাদশ সংসদের ৭ম অধিবেশন আগামী শনিবার বিকাল ৫টায় শুরু হবে। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।
[৭] স্পীকার এ প্রতিবেদককে আগেই জানিয়েছেন সংবিধানের বিধি অনুযায়ী সংসদের এক অধিবেশনের শেষ ও পরের অধিবেশনের শুরুর মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের বেশি বিরতি দেওয়ার সুযোগ নেই। সংবিধানের এই বাধ্যবাধকতা রক্ষায় অধিবেশন ডাকা ছাড়া কোন অপশন নেই। তাই করোনা ভাইরাসের মতো প্রতিকূল পরিবেশেও অধিবেশন বসতে যাচ্ছে।
[৮] সংসদ সচিবালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, সংসদ অধিবেশনে ঢাকায় অবস্থানরত এবং ঢাকার আশপাশের সংসদীয় এলাকার সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে । সংবিধান অনুযায়ী সংসদের বৈঠকের কোরাম পূরণ হতে সর্বনিম্ন ৬০ জনের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। এ বিধান মেনেই সংসদ সদস্যদের অধিবেশনে যোগ দিতে বলা হচ্ছে। এছাড়া সংসদ কক্ষে ২ সিট পরপর বসার আয়োজন করে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার বিষয়টি জোর দেওয়া হয়েছে।
[৯] প্রসঙ্গত, একাদশ সংসদের সর্বশেষ ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসেবে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সংসদের অধিবেশন শুরুর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ গত ৬ এপ্রিল জাতীয় সংসদের ৭ম অধিবেশন সংবিধানের ৭২(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আহ্বান করেছেন।