শাহনাজ বেগম: [২] ভারতে করোনা মোকাবিলায় টানা কয়েক সপ্তাহ লকডাউন চলছে, আর এর মধ্যে কয়েক হাজার ক্ষুধার্ত শিশু খাবারের অভাবে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ছে, এমন খবর জানিয়ে হেল্পলাইনে সহায়তা চেয়ে কল করছে কয়েক হাজার মানুষ। এরমধ্যে শিশু নির্যাতন, শিশুদের প্রতি সহিংসতা এবং পালিয়ে যাওয়া বা নিখোঁজ হওয়ার খবরও রয়েছে। বিবিসি, ইয়াহু নিউজ
[৩] ভারতে ৪৭২ মিলিয়ন শিশু রয়েছে যা বিশ্বের বৃহত্তম শিশু জনসংখ্যা, এদের মধ্যে দরিদ্র পরিবারের প্রায় ৪০ মিলিয়ন শিশু। এই সব শিশু লকডাউনের প্রভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে অর্ধাহারে বা অনাহারে।
[৪] এসব শিশুদের অনেকেই গ্রামীণ অঞ্চলে খামার ও মাঠে কাজ করার পাশাপাশি শহরের রাস্তায় ফেলে দেয়া কাগজ বা ভাঙ্গা জিনিসপত্র কুড়ানোর কাজ করে। অনেকে বেলুন, কলম এবং অন্যান্য জিনিস বিক্রি করে জীবন চালায়।
[৫] শিশু শ্রমিক ও পথশিশুদের নিয়ে কাজ করা দিল্লি ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা চেতনার পরিচালক সঞ্জয় গুপ্ত বলেছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হলেন শহরের রাস্তায়, ফ্লাইওভারের নীচে বা সরু গলি ও বস্তিতে বসবাস করা কয়েক লাখ গৃহহীন শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে।
[৬] একটি পরিসংখ্যানে দিল্লিতে ৭০ হাজার পথশিশু রয়েছে তবে গুপ্ত বলেছেন যে সংখ্যাটি আসলে এর চেয়ে অনেক বেশি। এই শিশুরা অভিভাবকহীন এবং তারা বেঁচে থাকার ন্য নিজেরা উপার্জন করে। তবে লকডাউনের সময় কারা কর্মহীন হয়েপড়ায় তাদের সহায়তার প্রয়োজন।
[৭] তিনি জানান, এসব শিশুদের অনেকের কাছেই মোবাইল ফোন রয়েছে এবং তারা সাধারণত দলবদ্ধভাবে বাস করে। তদের কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় এবং কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত সে সম্পর্কে বিভিন্ন বার্তা বা টিকটক ভিডিও পাঠানো হয়। শিশুরাও ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে তাদের অবস্থান জানায়।