শাহীন খন্দকার : [২] এছাড়া দেশের অন্যান্য জেলায়ও এ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে অনেকেই দেশের অন্যান্য জেলায় গিয়েছেন। সেখানে তাদের মাধ্যমে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
[৩] শনিবার নিবার মহাখালীর ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের মিলনায়তনে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে নিজ বাস ভবন থেকে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
[৪] স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে বেশ কিছু লোক দেশের অন্যান্য জেলায় চলে গিয়েছে। এ বিষয়টিকে আমাদেরকে আরও কঠিনভাবে দেখতে হবে। এটা বন্ধ করতে হবে।
[৫] সরকারের ঘোষিত নির্দেশনা উপেক্ষা করছেন অনেকেই। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে এমনটাই মত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, 'লোকজন এখনো ঘোরাফেরা করছে। অলিগলিতে বেশি ঘোরাফেরা করছে। সকালে বাজারে লোকজনের উপস্থিতি আরও বাড়ছে। এতে সংক্রমণে হার আরো বাড়বে। আপনাদেরকে বুঝতে হবে, এটা লকডাউন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, সে নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে হবে। আমরা মনে করি লকডাউন যদি পুরোপুরি মানা হয়, তাহলে সংক্রমণ কমবে।
[৭] তিনি আরও বলেন, ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কয়টা দিন আমরা একটু কষ্ট করতে পারলেই এর সমাধান হবে। ইতিমধ্যে বেশকিছু ডাক্তার, নার্স, সেনা সদস্য, পুলিশ সদস্য, গণমাধ্যমকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সুস্থতা আমি কামনা করি। আরো বলি, ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন। ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকবেন, আক্রান্ত হবেন না। করোনা পরীক্ষা করুন, নিজে বাঁচুন, প্রিয়জনকে বাঁচান।
[৮] করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার্থে গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে বলেন, করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য নতুন করে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সুসজ্জিত করা হচ্ছে। বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে ২০০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একটি মার্কেটে ১৩০০ শয্যায় আইসোলেশন, দিয়াবাড়ি একটি বহুতল ভবনে ১২০০ শয্যার আইসোলেশন করা হবে। এই তিনটি প্রতিষ্ঠানে সাড়ে চার হাজার শয্যা সংস্থাপন হবে। আরো বেশ কয়েকটি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা প্রয়োজন। আগামীতে আমরা মুগদা জেনারেল হাসপাতাল ও নিটোলের কথা চিন্তা করব।
আপনার মতামত লিখুন :