বিশ্বজিৎ দত্ত : [২ ] গত বুধবার ফিনল্যান্ড আবিষ্কার করে যে চীন থেকে আসা ২০ লাখ সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ২ লাখ ৩০ হাজার রেসপিরেটর মাস্কের প্রথম কিস্তিতেই গলদ রয়েছে। হাসপাতাল পরিবেশে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে আবশ্যিক সুরক্ষা প্রদান করে না এই মাস্কগুলি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আইনো-কাইসা পেকোনেন বলেছেন যে আবাসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী কর্মীরা এই মুখোশগুলি ব্যবহার করতে পারবেন।
[৩] বর্তমানে দৈনিক প্রায় ৫ লাখ সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ৫০ হাজার রেসপিরেটর মাস্কের প্রয়োজন ফিনল্যান্ডে, এবং দেশের তিনটি সংস্থার সঙ্গে আপাতত দিনে ২ লাখ মাস্ক উৎপাদনের চুক্তি করা হয়েছে।
[৪] নেদারল্যান্ডসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা করে যে তারা প্রায় ৬ লক্ষ মাস্ক চিনে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। দাবি করা হয় যে মাস্কগুলোগুলি ঠিকঠাক ‘ফিট’ করছে না, এবং তাদের ফিলটারও সঠিকভাবে কাজ করছে না, যদিও গুণগত মানের সার্টিফিকেট সমেত পাঠানো হয়েছিল সেগুলি।
[৫]তুরস্কও ঘোষণা করে যে একাধিক চিনা সংস্থার কাছ থেকে কেনা বেশ কিছু টেস্টিং কিট সঠিক পরীক্ষা করতে ব্যর্থ, যদিও সঠিক ফলাফল দেখিয়েছে আন্দাজ সাড়ে তিন লক্ষ কিট।
[৬] চীনের সরকার বলতে বাধ্য হয়েছে যে কেনার আগে মুখোশগুলি “দুবার দেখে” নেয় নি এইসব দেশ। চিনের উৎপাদনকারীরা জানিয়ে দিয়েছিলেন যে এইসব মুখোশ “সার্জিক্যাল নয়”।
[৭]ক্যানাডা গত বুধবার টরন্টো শহরের তরফে জানানো হয় যে গুণগত মান বজায় না রাখায় ফেরত পাঠানো হয় ৬২ হাজার ৬০০ মাস্ক।
[৮] এক চীনা প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে ৩ লাখ ৪০ হাজার টেস্টিং কিট কেনার পর স্পেনের সরকার দাবি করেছে যে প্রায় ৬০ হাজারটি কিট কোভিড-১৯ এর সঠিক পরীক্ষা করতে অক্ষম।
আপনার মতামত লিখুন :