শিরোনাম
◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫ ◈ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে: প্রেস সচিব ◈ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফের গরম হচ্ছে রাজপথ ◈ ফরিদপুরের কুমার নদে ট্রলার-স্প্রিটবোর্ডে প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের অস্ত্রের মহড়া

প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০৯ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আপনারা দিনের পর দিন প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেছেন আর এখন এই বিপদের সময় লুকিয়ে আছেন

আমিনুল ইসলাম : শুনতে পেলাম বেসরকারি বেশিরভাগ হাসপাতাল এবং বেসরকারিভাবে প্র্যাকটিস করা বেশিরভাগ ডাক্তাররা সব কিছু বন্ধ করে ঘরে বসে আছেন। সব রোগীদের তারা এখন সরকারি হাসপাতালে ঠেলে দিয়েছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি পৃথিবীর সব চাইতে উন্নত দেশগুলোতেও পর্যাপ্ত পিপিই নেই। ডাক্তাররা যে যেভাবে পারছে নিজদের প্রটেক্ট করার চেষ্টা করছেন। কেউ হয়তো ময়লা ফেলানোর পলিথিন পরেই চিকিৎসা দিচ্ছেন। কেউ আবার সাধারণ মাস্ক পরেই চিকিৎসা দিতে নেমে পড়েছেন। প্রায় বেশিরভাগ দেশেই ইন্টার্ন করা ছেলেপেলেরা পুরোদমে চিকিৎসা দিতে নেমে পড়েছে। ৭০-৮০ বছর বয়সের ডাক্তার, যারা কিনা অনেক আগেই রিটায়ারমেন্টে গিয়েছেন তারাও সবাই ঘর ছেড়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। আর আমাদের বেশিরভাগ বেসরকারি ডাক্তাররা কিনা সব কিছু বন্ধ করে ঘরে বসে আছেন এতোদিন একটা কথাও লিখিনি ডাক্তারদের নিয়ে। আজ বাধ্য হলাম লিখতে। মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে বাংলাদেশে। আর আপনারা কিনা এই সময়ে সব বন্ধ করে ঘরে বসে আছেন? আপনারা কি মানুষ? এমনিতে তো প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে কোটি কোটি টাকা বানিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তিনি যেই নির্দেশনা দিয়েছেন, তার সব কিছুই বেশ গোছানো ছিলো এবং বাস্তবধর্মী। আপনি ফ্রন্টলাইনে থাকা সবার জন্য ইন্স্যুরেন্সের কথা বলেছেন। এমনকি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথাও বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এখন যেটা বলতে হবে : যেই ডাক্তার এবং নার্সরা সব কিছু বন্ধ করে ঘরে বসে আছেন তাদের সবার ডাক্তারি সনদ বাতিল করা হবে। তারা আর কখনো এ দেশে ডাক্তারি করতে পারবেন না। সেইসঙ্গে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করুন। সেই সঙ্গে যে প্রাইভেট হাসপাতালগুলো এখন চিকিৎসা না দিয়ে বন্ধ করে বসে আছে তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দিন।
কথায় আছে বিপদে বন্ধুর পরিচয়। আপনারা দিনের পর দিন প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেছেন আর এখন এই বিপদের সময় লুকিয়ে আছেন। অথচ আপনারা বলেন, আপনারা নাকি জনগণের বন্ধু। আপনাদের সনদ বাতিল করে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে, দেশের প্রতিটা মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হবে তাদের নাম এবং ঠিকানা। যাতে সামাজিকভাবেও তারা হেয় প্রতিপন্ন হয়। মনে রাখবেন, আমরা সবাই যুদ্ধ করছি। এই যুদ্ধে আপনাদেরই হওয়ার কথা ছিলো সবচাইতে শক্ত হাতিয়ার। আর আপনারা কিনা ঘরে ঢুকে বসে আছেন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়