ওবায়দুর রহমান সোহান, ঢাবি প্রতিনিধি : [২] করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও এর আবাসিক হলগুলো বন্ধ। ঢাবি শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করায় ছিন্নমূল মানুষের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছে ক্যাম্পাসের অবলা প্রাণীগুলো। এ অবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়।
[৩] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী।
[৪] জানা যায়, ক্যাম্পাসের এস এম হল, জহু হল, পলাশী, টিএসসি, শাহবাগ, শহিদুল্লাহ হলসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৩০০-৩৫০টি কুকুর-বিড়ালের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। খাবারের মধ্যে রয়েছে মুরগির মাংস, মুরগির পা, ভুনা খিচুরি, বিস্কুট ইত্যাদি। খাবার বানিয়ে দিয়ে সহযোগিতা করছে কেউ কেউ।
[৫] এ বিষয়ে ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয় বলেন, আমার রুমে বেশ কয়েকটি বিড়ালের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ হলগুলো ভ্যাকেন্ট করে দেয়ায় সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছিল বাড়ি যাওয়ার। তল্পিতল্পাসহ রুম থেকে বের হবো, এমন সময় মাথায় এল এই অসহায় বিড়ালগুলোর কি অবস্থা হবে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় থাকা ৩০০-৪০০ কুকুরের কি হবে। কিছুক্ষণ ভেবে সিদ্ধান্ত নিলাম বাড়ি যাব না। ক্যাম্পাসের আশেপাশে কোনভাবে কোথাও থেকে যাব, এই অবলা প্রাণীগুলোর পাশে থাকব। মার্চ মাসের ২১ তারিখ থেকে ওদেরকে সাধ্যমত খাওয়ায় আসতেছি। আমার সাথে প্রতিটা দিন প্রতিটা মূহুর্তে পাশে থেকে পরিশ্রম করে যাচ্ছে আমার বন্ধু মাহাবুব হাসান। এখন পর্যন্ত আমরা ওদের পাশে আছি। ২১-২৮ তারিখ পর্যন্ত নিজেদের টাকায় এবিং কেউ খাবার কিনে দিলে সেগুলো সংগ্রহ করে খাওয়ায় আসতেছিলাম। একটা সময় আমাদের নিজেদের টাকা হয়ে যায়। পরে ডাকসুর নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জিএস গোলাম রাব্বানি ভাই এবং এজিএস সাদ্দাম হোসেন ভাই আমাদের সাথে থাকার কথা বলেন। এখনো ওনারা আমাদেরকে খাবার কিনে দিচ্ছে কুকুর বিড়ালগুলোর জন্য। সামনের দিনগুলোতেও এই প্রাণীগুলোর পাশে থাকব আমরা।
[৬] তিনি আরও বলেন, গত ২৯ তারিখ থেকে ডাকসুর জিএস রাব্বানি ভাই খাবার কিনে দেয়। সেগুলো মধুর ক্যান্টিনে রান্না হয়। আমি আর মাহাবুব বিভিন্ন জায়গায় যাই যারা খাবার কিনে আমাদেরকে নক করে। বাইক নিয়া গিয়ে নিয়ে আসি খাবারগুলো। ম্যাক্সিমাম সময় বিস্কুট এর প্যাকেট কিনে দিতে বলি। তারা টাকা পাঠাতে চায় বাট টাকা নেইনা। বলি সে টাকায় খাবার কিনে রাখেন, আমরা এসে নিয়ে যাচ্ছি। ফারজানা, সাবরিনা, মাহাবুব, ঐশী, বরষারাসহ আরও কয়েকজন আমাকে সহযোগিতা করে আসছে।