আশরাফ আহমেদ, হোসেনপুর প্রতিনিধি : [২] বিশ্বজুড়ে করোনার ভয়াল থাবায় প্রতিদিনেই অগণিত লাশের মিছিল , বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে স্বজনের আহাজারি কান্নার আওয়াজ, কোভিড ১৯ এ সংক্রমিত হচ্ছে লাখো জনতা।
[৩] দোকানপাট, যান চলাচল, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে মানুষ কর্মহীন। ফলে মানুষ নিজেকে বাঁচাতে প্রকৃতির সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছে। করোনার আতঙ্কে ও জীবন জীবিকার তাগিদায় ছোট টং দোকান খুলে ক্রেতার অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসে রয়েছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে কামাররা। কৃষিতে আগাম বোরো ধানের মৌসুমেও কর্মহীন হয়ে রয়েছে তারা।
[৪] সরোজমিনে ঘুরে দেখা যায়, করোনা মোকাবেলায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও মানুষ এখন গৃহে অবস্থান করছে। তবে জীবন জীবিকার তাগিদে দা-কাচি তৈরি পেশায় নিয়োজিত কামাররা এখন গৃহে অবস্থান না করে দোকানে বসে রয়েছে। বিগত এসময় বোরো ধান কাটার জন্য কাঁচি ,বটি দার ব্যাপক চাহিদা থাকে। ফলে তারা রাত দিন একটানা কাজ করে অক্রিম দা-কাচি তৈরি করে রাখতো। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বে করোনা নামক উদ্ভট মহামারীতে যখন মানুষ বিপন্ন, সেই মুহূর্তে কৃষিতে ওই সব যন্ত্রপাতির প্রয়োজন মনে করছে না স্থানীয় কৃষকরা।
[৫] এসময় আড়াইবাড়িয়া কামার মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, জামাইল গ্রামের লতিফ, নতুন বাজার কামার দেবাশীষসহ অনেকেই জানান, ক্ষুধার তাড়নায় পরিবার-পরিজনের মুখে অন্ন তুলে দিতে দোকান খুলে বসে আছি। তবে ক্রেতার সমাগম হচ্ছে না বিধায় চিন্তায় পড়ে গেছি। এখনো সরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগের ত্রাণ সামগ্রী পায় না বলে জানায় তারা।
[৬] এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল জানান, বিশেষ কর্মহীন পেশাজীবী শ্রেনীদের জন্যও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার ও চেয়ারম্যান দ্বারা অনুদান পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের নামের তালিকা করা হচ্ছে। তবে সরকারের যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য বরাদ্দ থাকায় কেউ খাদ্য প্রাপ্তি থেকে বাদ যাবে না বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :