হাসান মামুন : বিশেষজ্ঞ মতামত উপেক্ষা করে ট্রাম্প প্রশাসনও কিন্তু বলে যাচ্ছিলো সব কিছু ‘খুব ভালোভাবে’ নিয়ন্ত্রণে আছে। করোনার সম্ভাব্য বাহক ও রোগীদের শনাক্তকরণ নিয়ে সেখানে চলছিলো এককেন্দ্রিকতা ও গাফিলতি। এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই বলছেন, দুই লাখ আমেরিকান মারা গেলেও অবাক হওয়া যাবে না। ভেতরগত পরিস্থিতি অস্বীকারের পর এবার খোলাখুলিই বলে দেওয়া হচ্ছেÑ কয় লাখ অব্দি মারা গেলে সেটা প্রশাসনের ব্যর্থতা বলে বিবেচিত হবে না। আমেরিকার এ অবস্থা দেখে অবশ্য আমাদের ব্যাপারে দুম করে কিছু বলে দেওয়া ঠিক নয়। বিশেষ কোনো বা একগুচ্ছ কারণে এখানে পরিস্থিতিটা সহনীয় থেকে যেতে পারে। নাও পারে। এখন না পারলে কী হবে, সেটাই হলো কথা।
খারাপ কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয় সব ক্ষেত্রেই। তবে চলমান বিপদের বেলায় দেশে দেশে খারাপটা এতো খারাপ হয়ে দাঁড়াচ্ছে যে, একদম ধস নামিয়ে দিচ্ছে। করোনা বা এ জাতীয় অস্বাভাবিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা যে খুবই অপ্রস্তুত, সমন্বয়হীন আর ভীত, তা নিয়ে কেউ দ্বিমত করবেন না। তাহলে? ‘গড অলমাইটি’ বা ‘মাদার ন্যাচারের’ উপর ভরসা করে সাবধানে দিন গুজরানো ছাড়া কিছু করার নেই বোধহয়। সিংহভাগ মানুষ তো সেটাই করছে। অপেক্ষাও করে আছেÑ ক্ষমতাধর দেশগুলোর গবেষণাগার থেকে দ্রুত কোনো সুখবর আসে কিনা। প্রচলিত কিছু ওষুধপত্র প্রয়োগে সুফল মিলছে কিনা, সে খবরও খুব রাখছে লোকে। ফেসবুক থেকে