ডেমরা প্রতিনিধি : [২] মো.বশির উদ্দিন,প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) রুখতে ও এর প্রতিরোধে দেশজুড়ে চলছে লকডাউনসহ নানা সচেতনতামূলক কর্মকান্ড। আর লকডাউন নির্দেশনার পর থেকেই রাজধানীর ডেমরায় বাহিরমুখো মানুষকে ঘরে ফেড়াতে ট্রাফিক ও ডেমরা থানা পুলিশ নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন। এতে এখানকার হত দরিদ্র ও সাধারণ কর্মজীবি মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আর সরকারি এ নির্দেশনায় ‘দিন আনি, দিন খাওয়া’ মানুষের হয়েছে বড় বিপদ। ঘরে নেই খাবার, জীবিকার জন্য বাইরে নেই কোন কাজ। তাই গত ৩/৪ দিন ধরে ক্রমেই মানুষ ঘর থেকে বের হওয়া শুরু করছিলেন। এদিকে বিষয়টি লক্ষ্য করে বুধবার সকাল থেকেই ডেমরায় দায়িত্বরত ট্রাফিক ও থানা পুলিশ আট ঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন।
[৩] এদিন সকাল থেকেই ডেমরার প্রধান ও অভ্যন্তরীণ রাস্তায় নামা সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক-রিকশা-মিশুকসহ বিভিন্ন যানবাহন আটক করেন থানা ও ট্রাফিক পুলিশ। পরে অবশ্য চালকদের বুঝিয়ে শুনিয়ে সচেতন করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় কোনো মামলা নেওয়া হয়নি। আর ডেমরা থানা পুলিশ অভ্যন্তরীণ এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকানপাট ব্যতীত হোটেল, কনফেকশনারী, সেলুন, ইলেকট্রিক দোকানসহ অপ্রয়োজনীয় সব দোকানপাট বন্ধ করে দেন। এক্ষেত্রে তাদেরও করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে বুঝিয়ে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়ে ঘরে ফিড়ে যেতে বলা হয়।
[৪] এ বিষয়ে ডেমরায় দায়িত্বরত রামপুরা ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টি আই) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লকডাউন নির্দেশনার দু’এক দিন পর থেকে সাধারণ ও দরিদ্র কর্মজীবি মানুষগুলোর মাঝে সরকারি নির্দেশনা না মানার একটা প্রবণতা দেখা গেছে। ধীরে ধীরে তারা রোজগারের আশায় যে যার মতো করে রাস্তায় নামা শুরু করছিলেন। প্রতিদিনের নজরদারির ন্যায় বুধবার সকাল থেকে ট্রাফিক ও থানা পুলিশ একযোগে সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচীসহ মাঠে কাজ শুরু করেন। এক্ষেত্রে যথাযোগ্য প্রয়োজন ছাড়া বাহিরমুখো মানুষগুলোকে পুলিশ করোনা সংক্রমণ প্রসঙ্গে সচেতন করে বাড়ি ফিড়িয়ে দিচ্ছেন। এছাড়া দেশের বিত্তবানরাসহ অনেকেই এলাকা এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। এতে অসহায়দের খাবারের কষ্ট দূর হতে পারে।
[৫] এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. সিদ্ধিকুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে দেশের অন্যান্য জায়গার মতো ডেমরাতেও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয়, সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন ও বিত্তবানরাসহ পুলিশ কর্মহীন অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে। আর প্রতিদিন এসব বিতরণ কর্মসূচীর পরিমান বাড়ছে। এতে খাদ্য সংকট অনেকটাই দূর হবে। সম্পাদনা:” জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :