কাজী রাশেদ, চান্দিনা: [২] কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভা। যার আয়তন ১৪.২ বর্গ কিলোমিটার। ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চান্দিনা পৌরসভাটি। ৫৮ হাজার ৬৬৭ (জনশুমারী ও গৃহ গননা ২০২২) জনসংখ্যার পৌরসভাটি ২৬ বছর পার করলেও অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত পৌরবাসি। তবে প্রধান সড়কের কিছু সংস্কার করা হলেও অন্য সড়ক গুলো চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনগুলো।
[৩] পৌরসভা থেকে সড়ক গুলো হচ্ছে চান্দিনা- লতিফপুর সড়ক ৭.৭২ কিলোমিটার, চান্দিনা- খোসবাস সড়ক ৬.৯৬ কিলোমিটার, চান্দিনা খাদ্য গুদামের (ওয়াপদা) সামনে থেকে বাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদ সীমানা পর্যন্ত ৩.৩৫ কিলোমিটার,চান্দিনা মোকামবাড়ি থেকে বাড়েরা ও কাদুটি বাজার হয়ে নবাবপুর পর্যন্ত ১৮কিলোমিটার এবং চান্দিনা ফায়ার সার্ভিস অফিস থেকে থানগাঁও সড়ক।
[৪] চান্দিনা উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, চান্দিনা-লতিফপুর সড়ক থেকে ৩ কিলোমিটার,চান্দিনা-খোসবাস সড়ক থেকে ২ কিলোমিটার, মোকামবাড়ি-নবাবপুর সড়ক থেকে ২ কিলোমিটার, খাদ্য গুদাম-বাড়েরা সড়ক থেকে ৩.৩৫ কিলোমিটার এবং ফায়ার সার্ভিস অফিস থেকে থানগাঁও ব্রিজ পর্যন্ত ১.৪০ কিলোমটার সড়ক পৌরসভার আওতাভূক্ত হওয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদ্প্তরের অধীনে রক্ষনা-বেক্ষণ করা যাচ্ছে না। তবে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের পূর্বে এসব সড়কগুলো স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে রক্ষনাবেক্ষণ করা হতো। তিনি আরো জানান, পৌর সীমানের বাহির সড়কগুলো সময়মত রক্ষনা-বেক্ষন করা হচ্ছে এবং চলমান আছে।
[৫] এছাড়া পৌরসভায় সুপেয় পানির নেই সুষম বন্টন, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থাকলেও ট্রিটমেন্ট না করে সরাসরি উত্তোলন করে অপর্যপ্তভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রধান সড়কে কিছু স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হলেও মহল্লার সড়ক গুলো থাকে অন্ধকারে আচ্ছন্ন। অপরিছন্নতায়ও পিছিয়ে নেই পৌরসভাটি।
[৬] এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌর মেয়র মো. শওকত হোসেন ভূইয়া জানান, সম্প্রতি সড়ক গুলোর বেহাল দশা নিয়ে আমাদের সাংসদ অধ্যাপক ডা. প্রান গোপাল দত্তের সাথে আলোচনা হয়েছে। খুব শীঘ্রই টেন্ডার হচ্ছে এবং রক্ষনা-বেক্ষনের কাজ শুরু করা হবে।
প্রতিনিধি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :