সুব্রত বিশ্বাস : যে বিষয়টি পৃথিবীকে সব থেকে বেশি হতভম্ব করছে, তাহলো এতো সতর্কতা সত্ত্বেও কী করে এই ভাইরাসটি এতো দ্রুত ছড়াচ্ছে, এই ধরনের ভাইরাস নিজেদের জিনের পরিবর্তন ঘটিয়ে পশু থেকে লাফ দিয়ে মানুষকে তাদের লক্ষ্য বানিয়েছে। তারপর ঘাতক রূপ ধারণ করে আমাদের অবধারিত মৃত্যুর পথে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। নোভেল করোনা বা সার্স-কোভ-২ ভাইরাস এবং তার ঘটানো কোভিড-১৯ রোগের, যে তা থেকে আমাদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে? উত্তর বোধহয় একটাই এই ভাইরাসটির অভূতপূর্ব সংক্রমণ এবং মারণ ক্ষমতা, যা এর আগে কোনো জীবাণুতে দেখা যায়নি। ভাইরাসটির জিন গঠন থেকে দেখা যাচ্ছে যে, সে পরিকল্পিতভাবে এই দু’টি বৈশিষ্ট্যের মিল ঘটিয়ে আমাদের মধ্যে কেবল দ্রুত ছড়িয়েই যাচ্ছে না, ফুসফুসে রোগ ধরিয়ে আমাদের মৃত্যুও ডেকে আনছে।
এই ভাইরাসটির আরও এক ভয়ংকর বৈশিষ্ট্য, তা একজন মানুষকে কোনোভাবে অসুস্থ না করেও তার ভেতরে ২১ থেকে ২৫ দিন অবধি বিস্তার করতে পারে। এ রকম ব্যক্তিদের তাই কোভিড-১৯-এর ‘অ্যাসিম্পটম্যাটিক’ (রোগের কোনো উপসর্গ নেই) বা লক্ষণবিহীন বাহক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই ব্যক্তিরাই ভাইরাসটি ছড়ানো বা ‘কমিউনিটি স্প্রেডিং’য়ে মূল ভূমিকা পালন করে। এই ধরনের সংক্রমিত ব্যক্তিরাই এই রোগকে স্টেজ-২ (নির্দিষ্ট এলাকায় সীমিত) থেকে স্টেজ-৩ (গোষ্ঠীর মধ্যে ছড়ানো) পর্যায়ে নিয়ে যেতে সবচেয়ে সাহায্য করে। এখনো আমরা ঠিক জানি না যে এ রকম কতোজন লক্ষণবিহীন ভাইরাস বাহক আমাদের দেশে অজান্তে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এর প্রধান কারণ আমরা সেই পরিমাণে মানুষের মধ্যে ভাইরাসটির পরীক্ষা করে উঠতে পারিনি। তাই আমাদের দেশে এই সংকটের ঠিক ছবিটা এখনই পাওয়া কঠিন। ফেসবুক থেকে