ডেস্ক রিপোর্ট : [২] তারা একের পর এক দায়িত্বহীনতা, অনৈতিক কার্যক্রম এবং ঔদ্ধত্য আচরণ জনগণকে উদ্বিগ্ন করছে। প্রশাসন অর্থাৎ সরকারী কর্মচারীরা জনগণের বেতনভুক্ত কর্মচারী। জনগণের টাকায় তাঁদের বেতন হয়। এক কথায় তারা জনগণের চাকর। অথচ কিছু কিছু সরকারী কর্মকর্তার আচরণ এতটাই বেসামাল, যা নিয়ে সকলে আতঙ্কিত। বাংলাইনসাইডার, সময়নিউজ ও বাংলানিউজ
[৩] গত ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর তারা টানা ৩ মেয়াদে ক্ষমতায় আছে। এসময় প্রশাসনের একটি বড় অংশ পেশাগত দক্ষতা আর মেধার বদলে শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে আওয়ামী লীগের হয়ে পদোন্নতিসহ নানা রকম লাভজনক পোস্টিং বাগিয়ে নিচ্ছেন। প্রশাসনে মেধার চর্চা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কে কতো বড় আওয়ামী লীগার, তা প্রমাণের উদ্ভট এবং অবাস্তব প্রতিযোগিতা চলছে এখন।
[৪] বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রশাসনে এ অবস্থার জন্য রাজনীতিকরণই বেশি দায়ী। কিছুদিন আগে জামালপুরের ডিসির অনৈতিক কর্মকাণ্ড, সম্প্রতি কুড়িগ্রামে ডিসির সাংবাদিকের ওপর আক্রমণ কিংবা সাম্প্রতিক সময়ে যশোরের এসি ল্যান্ডের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ জনগনকে বিস্মিত করেছে। তবে স্থানীয় পর্যায়ে যারা চলাফেরা করেন এবং প্রশাসনের খোঁজ খবর রাখেন, তাঁরা জানেন , জামালপুর কিংবা কুড়িগ্রামের ডিসি বা যশোরের এসিল্যান্ডের এ আচরণ কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের ভেতর রাজনীতিকরণ, দলবাজি এবং লবিং-গ্রুপের প্রভাবে প্রশাসনের চেইন অব কমান্ড বা শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে।
[৫]প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজেদের তাঁরা আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় আওয়ামী লীগার মনে করেন। এমনকি কোন কোন সচিবের কাছে গেলে তাঁরা আওয়ামী লীগ নেতাদেরকেও হিতোপদেশ দেন। কিভাবে দল চলতে পারে, সে ব্যাপারেও পরামর্শ দেন তারা। অনেকেই প্রশাসনে তার অর্পিত দায়িত্বর চেয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বেশি মনোযোগী। বিশেষ করে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর রাজনৈতিক নেতাদের ওপর আমলারা ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। সুবিধাবাদী আমলারা নিজেদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছেন। প্রশাসনের নিয়ম-শৃঙ্খলা এবং দায়িত্ব ভুলে রাজনৈতিক কর্মীদের মতো আচরণ করছেন। সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম