মাহফুজ নান্টু :[২] ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে জনসাধারণের ওপর লাঠিচার্জ, ধাওয়া করে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির ৩ মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। অনেকে ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
[৩] এছাড়াও ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে তার (এসিল্যান্ড) অফিসের অফিস সহায়ক মো. সাইফুল ইসলাম লাঠি হাতে নিয়ে একাধিক লোককে পিটুনি, কানে ধরানো এবং ধাওয়া করতে দেখা যায়।
[৪] জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে জেলার বুড়িচং উপজেলার নিমসার ও কাবিলাসহ বেশ কয়েকটি বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলার বুড়িচং উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিদা আক্তার। এসময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা না থাকায় এবং মাস্ক না পড়ে বাজারে ঘুরাফেরার কারণে ৮জনকে জরিমানা করেন এবং অনেককে সতর্ক করেন। কিন্তু এসময় বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য আসা সাধারণ মানুষকে পুলিশ ও এসিল্যান্ড অফিসের পিয়ন সাইফুল ইসলাম লাঠি নিয়ে ধাওয়া করেন। একাধিক ব্যক্তিকে লাঠি দিয়ে পেটানো এবং এক ব্যক্তিকে কানে ধরাতেও দেখা যায়।
[৫] ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে পুলিশের পাশাপাশি চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারীর এ ধরনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন বাজারে আসা লোকজন ও ব্যবসায়ীরা।
[৬] ভ্রাম্যমাণ আদালতে সহায়তা করেন বুড়িচং থানার এএসআই দেলোয়ারসহ সঙ্গীয় ফোর্স।
[৭] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, লাঠি হাতে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মচারী পিটিয়ে ও মানুষকে ধাওয়া করে পুরো বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করবে, এটা কেমন ভ্রাম্যমাণ আদালত?
[৮] আরো কয়েকজন জানান, এলাকার সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের জন্য বাজারে এসেছিল কিন্তু বিনা উস্কানিতে পুলিশ ও সাদা গেঞ্জি পরিহিত ব্যক্তি (অফিস পিয়ন সাইফুল) ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মানুষকে যেভাবে ধাওয়া করেছে, পিটিয়েছে তা বর্বর যুগকেও হার মানিয়েছে। এদিকে ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালে ধারণকৃত ৩ মিনিটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
[৯] এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসান বলেন, লাঠি হাতে জনতাকে ধাওয়া, পেটানো এবং কানে ধরার বিষয়টি আমার জানা নেই। এাসিল্যান্ড ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন। সে এই বিষয়ে ভাল বলতে পারবে। বিষয়টি খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
[১০] সহকারী কমিশনার ভূমি তাহমিদা আক্তার জানান, বাজারে লোকসমাগম বেশি ছিল। লোকজনকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। তিনি ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালে কানে ধরানো এবং লাঠি হাতে ধাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে ভিডিও দেখালে এসিল্যান্ড তা স্বীকার করেন।
[১১] কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর জানান, আমরা শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান