রাশিদ রিয়াজ : [২] ‘মনে হচ্ছে আল্লাহ আমাদের আর চান না’, এমন আঁকুতি অনেক সৌদি নাগরিকের। মক্কা ও মদিনা ফাঁকা এমন চিত্র তারা কল্পনায় আনতে পারছেন না। আরব দেশগুলো জুড়ে চলছে করোনাভাইরাস লকডাউন। সবাই ঘরে বন্দী হয়ে রয়েছে। জেরুজালেম পোস্ট
[৩] মসজিদে নববীতে গত সপ্তাহে ইমাম আহমেদ বিন তালেন হামিদ যখন বলেন, যখন মানুষ ক্ষমা চাইতে থাকে তখন আল্লাহ কখনো তাদের শাস্তি দেন না। তাদের মাঝে যখন আল্লাহর নবী (সাঃ) উপস্থিত থাকেন তখন তারা শাস্তিপ্রাপ্ত হয় না। উপস্থিত স্বল্প কিছু মানুষ তখন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
[৪] পুরো মুসলিম বিশ্বের কোনো মুসল্লি এখন মক্কা ও মদিনায় যেতে পারছেন না। আগামী হজের আয়োজন হবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এজন্যে বিশ্বের সব মুসলমানদেরই মন খারাপ। কারণ তাদের অনেকে হজের নিয়ত করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
[৫] ইসলাম ধর্মে ভাইরাসজনিত প্রাদুর্ভাবে সাবধানতা অবলম্বন বাধ্যবাধকতা। নবীজি (সা:) বলেছেন, সেইসব জাতির দিকে তাকাও যারা ভাইরাসকে গুরুত্ব দেয়নি, যার আক্রমণে শুরুতেই তাদের শতশত মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়েছে।
[৬] সুতরাং জুম্মার নামাজ বাতিলের চেয়েও কি কঠিন কিছু আছে? হ্যা আছে। আরবের দেশগুলোতে এজন্যেই আনন্দ উদযাপন ও বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এগুলো কষ্টকর হলেও এরচেয়েও কষ্টকর হচ্ছে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা।