শরীফ শাওন : [২] সিরাজ গার্মেন্ট শ্রমিকরা জানান, কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার সময় পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছি। কারখানায় করোনা সতর্কতামূলক সরঞ্জাম নেই, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও গ্লাভস অপ্রতুল। সর্বত্র সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখলেও আমাদের কারখানা বন্ধ দিচ্ছে না। এ পরিবেশে কাজ করা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই করোনা সঙ্কটময় মূহুর্তে কারখানা বন্ধের আহবান জানাই।
[৩] এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারখানার মালিক লুৎফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মালিকপক্ষ থেকে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের যথেষ্ট পরিমান সতর্কতামূলক সরঞ্জাম নিশ্চিত করা হয়েছে। আজ ১ লাখ পিচ মাল বায়ারদের হস্তান্তর করার কথা ছিল। এছাড়াও ৫ লাখ পিচ কার্যাদেশ রয়েছে। শ্রমিকদের বলা হয়েছিল ১ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যাদেশ সম্পন্ন করে ছুটি দেয়া হবে। তাদের দাবিতে কারখানা বন্ধ করায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন মালিকপক্ষ। বিজিএমইএ’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের থেকে কোন সহায়তা পাইনি।
[৪] কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই।
[৫] উত্তরার হাবিব মার্কেট সংলগ্ন এলিগ্যান্ট গ্রুপের কেসুপিয়া গার্মেন্ট শ্রমিকরা জানান, কারখানা বন্ধের আন্দোলন করা হলে শনিবার (২৮ মার্চ) বন্ধ রাখেন মালিকপক্ষ। রবিবার মালিক-শ্রমিক বৈঠকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়াও মোহাম্মদপুরে হ্যাংকং নিট কারখানা, শেওড়াপাড়া এবং মিরপুর ১৪ নম্বরে অবস্থিত ২ টি কারখানায় বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।
[৬] শনিবার (২৮ মার্চ) সকাল থেকেই কারখানা বন্ধের আন্দোলন করেন পোশাক শ্রমিকরা।