শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২০, ০৮:০৮ সকাল
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০২০, ০৮:০৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মারধর করে স্ত্রীর পা ভেঙে দিলেন দারোগা, বিচার চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] প্রায় ৬ বছর আগে আপন খালাতো বোন শাহনাজ পারভিনকে বিয়ে করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানায় কর্মরত এসআই তৌহিদুল ইসলাম। বিয়ের কিছুদিন পরই তাদের সংসারে শুরু হয় কলহ। এ জেরে এবার মারধর করে স্ত্রীর পা ভেঙে দেন তৌহিদুল। কালের কন্ঠ, পূর্বপশ্চিমবিডি, ইত্তেফাক

[৩] গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৬ মিনিটে শাহনাজ পারভিন তার ফেসবুক আইডিতে ৩টি ছবি পোস্ট করে তার ক্যাপশন লিখেন, আর কতো, আমিওতো মানুষ। গত ১৪ দিন ধরে সইতেছিলাম। চুপ ছিলামএর আগেও। এবারও চুপই থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ভাবলাম আর না। কারণ কুকুর কোন দিন ভালো হয় না। আর সইতে পারব না। ওকে কেউ এমন করলে কি করতো সে।

[৪] গতকাল দুপুরে বিচার চেয়ে শাহনাজ পারভিন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমাকে দেখতে এসেই বিয়ে করে তৌহিদুল। এর কিছুদিন পর যৌতুক হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করে সে। সংসার টিকিয়ে রাখতে সে সময় তাকে নগদ ১০ লাখ টাকা দেয়া হয়।

[৫] কিন্তু এরপর চাকরির সুবাদে বগুড়ায় গিয়ে আদম দিঘির চাপাপুর গ্রামের রিমা নামের এক নারীকে বিয়ে করেন তৌহিদুল। এই বিয়ে মেনে নিতে আমার ওপর চাপ প্রয়োগ করে সে। আমি তার দ্বিতীয় বিয়ে না মানায় প্রায়ই আমার ওপর নির্যাতন চালাতো। সাড়ে ৩ বছরের সন্তান থাকায় সব নির্যাতন নীরবে সহ্য করেছি।

[৬] শাহনাজ আরো বলেন, সম্প্রতি দ্বিতীয় বউ রিমাকে ঘরে তোলার জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকে। এনিয়ে প্রতিবাদ করায় ১৪ দিন আগে মেরে আমার বাম পা ভেঙে দেয়। এছাড়াও শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। পরে আমি কোনো রকমে শিবগঞ্জ থানার গেটের বাসা হতে বের হয়ে একা শিবগঞ্জ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাই। দিন দিন আমার স্বাস্থ্যের অবস্থা অবনতি হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার বাবার বাড়ি চলে আসি।

[৭] শাহনাজের অভিযোগ, বিষয়টি শিবগঞ্জ থানার ওসি শামসুল আলম, তদন্ত আতিকুল ইসলাম ও এসআই আনামকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো তৌহিদুলের পক্ষ নিয়েছেন।

[৮] এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিবগঞ্জ থানার এসআই তৌহিদুল ইসলাম বলেন, স্ত্রীকে নির্যাতন করিনি। সিঁড়ি হতে পড়ে তার পা ভেঙে গেছে। তিনি দ্বিতীয় বিয়ের কথা অস্বীকার করে বলেন, শাহনাজের মাথায় সমস্যা আছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন’র কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওগুলো ইনজেকশনের দাগ। এলার্জি থাকায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে দাগ পড়েছে।

[৯] ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ থানার ওসি শামসুল আলম শাহ জানান,  এটি তাদের পারিবারিক বিষয়। সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়