শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০২০, ০৭:১৮ সকাল
আপডেট : ২৫ মার্চ, ২০২০, ০৭:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এখন জীবন দখলের সংগ্রাম

খান আসাদ : এখন সময়টা এমন যে আপনাকে আত্মরক্ষার চর্চায় যেতে হবে। আক্ষরিক অর্থেই আত্মরক্ষা। নিজেকেই রক্ষা করতে হবে। কোনো ঐশী শক্তি নেই। কোনো সামাজিক শক্তিও বাংলাদেশে অবশিষ্ট নেই যারা দ্রুত স্থানীয় সমস্যার সমাধানে আপনার পাশে থাকবে। গত কয়েক দশকে রাষ্ট্র প্রথাগত সমাজশক্তিকে ধ্বংস করে দিয়েছে, ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে করে। করোনা ভাইরাস থেকে আত্মরক্ষার জন্য কিছু বিষয় আমরা জানি। নিজেকে প্রতিদিন রক্ষার চর্চায় যেতে হবে। জীবনের দখল নিজেদের হাতে নিতে হবে।

১. প্রচুর গরম তরল খান। চা, গরম জলে লেবুর রস, স্যুপ। কারণ ভাইরাস যে শ্বাসনালীকে অবরুদ্ধ করতে চায়, গরম তরল এই ক্ষেত্রে কাজে দিতে পারে। এটি ওষুধ নয়, প্রতিষেধক। ভিটামিন ‘সি’ ও জিংক আছে এমন খাবার খান। ২. পরিষ্কার পরিচ্ছন থাকুন। জামা কাপড় পরিষ্কার রাখুন। নিয়মিত স্নান করুন। দরোজার হাতল, লিফটের সুইচ, ঘরের আসবাপত্র পরিষ্কার রাখুন। হাত ধোয়ার অভ্যাসটিও বহাল রাখুন। ৩. আপনি মনে করেছিলেন, আপনি ট্যাক্স দিচ্ছেন, ভোট দিচ্ছেন, সরকারের সমালোচনা করছেন, ভেবেছিলেন এই করে করে আপনি সার্ভিস পাবেন। কিন্তু এই রাষ্ট্র একটি শ্রেণির স্বার্থে, লুটেরা শ্রেণির স্বার্থে, সব নাগরিকের স্বার্থে কাজ করে না। এই বোধ আপনার ছিলো না। ফলে আপনি হতাশ, অসহায়বোধ করছেন এবং বিষাদাক্রান্ত হচ্ছেন। এই বিষাদ আপনার শরীরে এন্টিবডি তৈরিতে বাধা দেয়। মানসিক আত্মরক্ষার কাজটিও আপনাকেই করতে হবে। সেজন্য শারীরিক স্পর্শ বাঁচিয়ে চলুন, কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় থাকুন। কেবল তথাকথিত সোশ্যাল আইসোলেশনে বা সামাজিক বিচ্ছিন্নতায় গেলে হবে না, মানুষের পাশে আছেন, এই বার্তা দিন।

মানুষের পাশে যে কিউবা বা চীন দাঁড়িয়েছে, তার কারণ এই সমাজের নেতৃত্ব, যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় আছেন তারা সবাই নাগরিকের জন্য, কেবল পুঁজিপতি শ্রেণির জন্য নয় এই মতাদর্শের মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারলে আমাদেরও অনেক বিজ্ঞানী ও ডাক্তার থাকতো, মানুষকে সহায়তা দেওয়ার স্থানীয় সামাজিক কাঠামো অনেক শক্তিশালী থাকতো। আমরা সেই সমাজতান্ত্রিক উন্নয়নের পথে যাইনি। বাংলাদেশের উঠতি পুঁজিপতি শ্রেণির প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্র লুটেরা শ্রেণি ও ধর্মান্ধ মানুষ তৈরিতে কাজ করেছে। মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য, আগামীর স্বপ্ন দেখুন। কাঠামোগত করোনাভাইরাস (বৈষম্য ও সহিংসতা) এই রাষ্ট্র ও শোষকশ্রেণি টিকিয়ে রেখেছে। ফলে মানুষ হত্যার নীরব প্রক্রিয়া (দরিদ্রদের গড় আয়ু দেখলেই হিসেব পরিষ্কার) চলছে। কীভাবে এই ব্যবস্থা বদলানো যায়, এখনই তা ভাবুন। জীবন দখলের সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ সমাজের কথাও ভাবুন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়