শিরোনাম
◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে ◈ আফগা‌নিস্তা‌নের স‌ঙ্গে চাপের মুহুর্তে নাসুম ও মুস্তাফিজের বোলিং দেখে অবাক পা‌কিস্তা‌নের রমিজ রাজা  ◈ আফগানিস্তানকে হারা‌নোর ফ‌লে আইসিসি টি-‌টো‌য়ে‌ন্টি র‌্যাং‌কিং‌য়ে বাংলাদেশের উন্ন‌তি ◈ দুবাইয়ে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি, আটকা ১৭৮ যাত্রী ◈ প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিউইয়র্ক পুলিশ প্রস্তুত ◈ আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির ◈ ১৬ দিনে এলো ২০৪১০ কোটি টাকার প্রবাসী আয় ◈ কিছু মহল এখনো নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ২৪ মার্চ, ২০২০, ০৬:২৪ সকাল
আপডেট : ২৪ মার্চ, ২০২০, ০৬:২৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রবাসীরা ততোটুকু দোষী, যতোটুকু আমরা সবাই, আমরা কি জনসমাগমের নিয়ম মানি? আমরা কি করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানি?

ড.আসিফ নজরুল: আমার পরিবারে কেনো মানুষ প্রবাসী না। চাকরির সুনির্দিষ্ট অফার ও বহু সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আমি বিদেশে থেকে যাইনি। কিন্তু আমি জানি, প্রবাসে যারা আছেন, যারা সাধারণ বা সামান্য কাজ করেন বিদেশে, তারা কতোটা ভালোবাসেন দেশকে, কতোটা অবদান তাদের দেশটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। এই প্রবাসীদের ওপর রাগ দেখাচ্ছেন কেউ কেউ। কেন? করোনার সময় দেশে ফিরেছে বলে? কিন্তু পৃথিবীর কোন দেশের মানুষ এটা করেননি? সব দেশে এটা হয়েছে।

যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজের দেশে ফেরা মানুষের মৌলিক অধিকার। পৃথিবীর কোনো দেশ এটা থেকে তার নাগরিকদের বঞ্চিত করতে পারে না। করোনার এ দুঃসময়ে প্রবাসীদের মধ্যে বড়জোর ৫ শতাংশ দেশে ফিরেছেন। দেশে তারা ফিরেছেন রোগ সংক্রমণের উদ্দেশ্য নিয়ে না। তাদের অনেকের অসচেতনা ছিলো হয়তো। তবুও করোনার সংক্রমণের জন্য তারা দায়ী না। দোষ হচ্ছে সরকারের। তাদের উচিত ছিলো বিমানবন্দরে উপযুক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। প্রবাসীদের সেখানে আলাদা রেখে টেস্ট করা, শনাক্ত করা। যাদের মধ্যে তখনই করোনার লক্ষণ আছে তাদের উপযুক্ত কোয়ারেন্টাইন (আলাদা আলাদা কক্ষে রেখে, ডাক্তার, নার্স সাপোর্টিং কেয়ারের ব্যবস্থা সহ) করা। তখনো করোনা আক্রান্ত না তাদের বাসায় ১৪ দিন আলাদা থাকার নিয়মকানুন আর গুরুত্ব ভালো করে বুঝিয়ে বলা। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়টা তদারকি করা।
সরকার এর একটা কাজও করেনি। একটা কাজও না। এমনকি হোম কোয়ারেন্টাইন কি সেটাও বুঝিয়ে বলা হয়নি। সামান্য একটা নির্দেশাবলীও তাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়নি। প্রবাসীদের দেশে ফেরা অধিকার। তারা ফিরেছে। তাদের ও দেশের সব মানুষকে নিরাপদ রাখা সরকারের দায়িত্ব। সরকার তা করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাহলে প্রবাসীদের মাধ্যমে কোনো সংক্রমণ হলে তার দায় কার ওপর পড়বে?

প্রবাসীরা ততোটুকু দোষী, যতোটুকু আমরা সবাই। আমরা কি জনসগামের নিয়ম মানি? আমরা কি করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানি? আমরা কি বাজার থেকে সীমিত জিনিস কেনার নিয়ম মানি? আমার কি আমাদের পরিবারের একজনও আক্রান্ত হলে বাকিদের প্রতি দায়িত্ব সচেতন থাকি। পারলে উপযুক্ত জায়গায় ক্ষোভ দেখান। প্রশ্ন তুলেন কথায় কথায় সিঙ্গাপুর আর কানাডা হয়ে গেছি বলা দেশে করোনা সনাক্তকরণের কিট মাত্র ২ হাজার কেন? কেন কোনো ডাক্তারের নেই নিরাপদ পোশাক? কেন কোথাও নেই চিকিৎসা ব্যবস্থা। কেন মাত্র চারটা স্ক্যানিং মেশিনের তিনটে থাকে নষ্ট? কোথায় খরচ করা হয়, কীভাবে খরচ হয় আমাদের সাধারণ মানুষের থেকে আদায় করা লাখ লাখ কোটি টাকা? সাধারণ মানুষকে ভালোবাসুন, একজন আরেকজনের সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না। আরও অনেক খারাপ দিন আসছে। আপনি জানেন সরকার কিছু করবে না সাধারণ মানুষের জন্য। করলেও খুব সামান্য। আপনার পাশে দাঁড়াবে আপনার প্রতিবেশী, এলাকার মানুষ। আর ওপরে আছেন মহান আল্লাহ। দয়া করে নিজেদের ভালোবাসা, এক্য আর সহমর্মিতার শক্তি নষ্ট করবেন না। নিজেরা নিজেরা ঝগড়া করবেন না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়