শুভ কামাল: মালয়েশিয়ায় করোনা ছড়িয়েছে মসজিদে তাবলিগ জামাতের এক ইভেন্ট থেকে। কোরিয়াতে ছড়িয়েছে চার্চের অনুষ্ঠান থেকে। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া কোরিয়ার রোগী নম্বর ৩১ চার্চের অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই রোগটা কোরিয়ায় রোগটা ব্যাপক আকারে ছড়িয়েছিলো। নিউইয়র্কের প্রথম করোনা ধরা পড়া লোকটা তার ইহুদি ধর্ম প্রতিষ্ঠান সিন্যাগগে গিয়েছিলো, এই এক লোকের মাধ্যমে তার কমিউনিটির একশজনের মতো লোকের কাছে ছড়িয়েছিলো এই রোগ। তো বাস্তবতা বুঝতে পেরে সৌদি তাওয়াফ বন্ধ রেখেছে, কুয়েতে ঘরে নামাজ পড়ার জন্য আজানও পরিবর্তন করেছে। আর বাংলাদেশের এক ... মুফতির ভিডিও ভাইরাল হয়েছেÑ সে কোনো জালেমশাহীর বাংলাদেশে মসজিদ বন্ধ করা মানবে না। আরেক গাধার দল ২৫ হাজার লোক মিলে মাঠে বসে দোয়া করেছে করোনা থেকে বাঁচার জন্য। আবার আরেক ... স্ট্যাটাস দিয়েছে কিছু রাজাকার নাকি এই অসময়ে হ্যাপি বার্থডে পালন করা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এক লেখক এই সময়ে সেলফির ফ্রেমে আঁটার জন্য ভক্তবৃন্দ নিয়ে চাপাচাপি করছে।
পাশের দেশে কিছু আবাল আবার গরুর মুত খেয়ে শরীরে এন্টিবডি উৎপাদন করছে। ভাইসব নিজেই নিজেরে বাঁচান। কোনো দেশের সরকার এই মহামারীতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দিতে পারছে না, বিজ্ঞানও আপাতত ব্যর্থ। যে ধর্মালয়ে মানুষ যে জীবাণু থেকে বাঁচতে দোয়া করতে যায় সেখান থেকেই লোকে সেই জীবাণু নিয়ে ফেরে। ঘোর সংকট। আমি নিজেও আক্রান্ত হতে পারি যেকোনো সময়, এই শত্রু অদৃশ্য। আপাতত ঘরে খিঁচ খেয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার নেই। ও হ্যাঁ যে দুই লাখ লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, তাদের সবাই আপনার মতো ভেবেছিলো তাদের কিছু হবে না। করোনা কিন্তু জাত, ধর্ম দেখছে না, কাউকে ক্ষমা করছে না। আগে লোকজনের কাছ থেকে দূরে থাকুন, পরে যতো দোয়া দুরুদ আছে সব পড়তে থাকুন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :