আব্দুল্লাহ মামুন : [২] করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী বিভিন্ন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার । গণপরিবহন ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শও দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু দেশের গণপরিবহনগুলোতে ভাইরাসটি প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এখন পর্যন্ত । বাংলা ট্রিবিউন
[৩] যাত্রী সংখ্যা কিছুটা কম তবে গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পরিবহন গুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে দেখা যায়নি কোন জায়গায় । ফলে গণপরিবহন ব্যবহারকারীদের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
[৪] সচেতনতা বৃদ্ধিতে পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কিছু লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে, তা রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে না বলছেন গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
[৫] তারা বলছেন, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কারো হাঁচি বা কাশিতে থাকা জীবাণু শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শ লেগেছে এমন কোনও বস্তু স্পর্শের মাধ্যমে ভাইরাসটি সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির দুই মিটারের মধ্যে থাকা অন্য ব্যক্তিকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।
[৬] করোনার সংক্রমণ রোধে গণপরিবহন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘এ অবস্থায় গণপরিবহন ব্যবহার না করা ভালো। কারণ গণপরিবহনে মানুষের সমাগম বেশি এবং এখান থেকে এই রোগ ছড়িয়ে যেতে পারে।
[৭] বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণপরিবহন জীবাণুমুক্ত করার নানা উদ্যোগ নিলেও আমাদের দেশে সেই ব্যবস্থা নেই। গত কয়েকদিন নগরীর বেশ কয়েকটি বাস টার্মিনাল ঘুরে কোথাও করোনা ভাইরাসের প্রাথমিক প্রতিরোধক ব্যবস্থাও চোখে পড়েনি। যাত্রীদের মধ্যেও সচেতনতা দেখা যায়নি।