শিরোনাম
◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ ◈ তীব্র তাপদাহে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত গণবিরোধী: বিএনপি ◈ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কাজ করবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী ◈ বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে: ওবায়দুল কাদের ◈ উপজেলা নির্বাচনে হার্ডলাইনে বিএনপি, ৭৩ নেতা বহিষ্কার ◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন 

প্রকাশিত : ২১ মার্চ, ২০২০, ০৬:৪১ সকাল
আপডেট : ২১ মার্চ, ২০২০, ০৬:৪১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ : বর্বর উপদ্রুত জনপদ

 

মাসুদ রানা: চীনে করোনাভাইরাসের মহামারীকে বাংলাদেশের যারা দেশটির উপর ‘আল্লাহ্র গজব’ বলে উল্লাস প্রকাশ করেছিলেন, আজ তারা দেখুন : খোদ বাংলাদেশ যখন একই মহামারীর ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়েছে, সেই চীন দেশই ভাইরাস পরীক্ষার জন্য এক লাখ পরীক্ষণ যন্ত্র দিচ্ছে। উত্তম কে? মনুষ্যত্বের ধারক কে? যে অন্যের বিপদে উল্লাস প্রকাশ করে, নাকি যে অন্যের বিপদে সাহায্যের হাত প্রসারিত করে? এটিই কি ইসলাম? যে ইসলামের নবী মুহম্মদ (সা.) তাঁর পথে কাঁটা বিছিয়ে কষ্ট দেওয়া বৃদ্ধার অসুস্থতাজনিত অনুপস্থিতিতে স্বস্তিবোধ না করে বরং তাকে দেখতে গিয়েছিলেন রোগশয্যায়, সে ইসলামের নামে কিছু বিদ্বেষ প্রচারক আজ কী করে এই দেশে, মুহম্মদী বেশে? অমুসলিম দেশে কোনো বিপদ হলেই উল্লাসে ফেটে পড়ে হিংস্রতা প্রকাশ করে। নির্লজ্জ, নিচ, সংকীর্ণ, অমানবিক, অসভ্য ও বর্বরের দল ইসলামের নাম সমগ্র দেশে ধর্মীয় উন্মত্ততার ঝড় তুলে সমগ্র জাতিকে যেন প্রাক-ইসলামী যুগের জাহেলিয়াত তথা অজ্ঞতা ও অন্ধকারের দিকে পরিচালিত করছে। অথচ এ দেশে ইসলাম এসেছিলো সাম্যের বাণী নিয়ে, ব্রাহ্মণ্যবাদে নিষ্পেষিত ব্রাত্যজনকে মনুষ্য-মর্যাদায় উন্নীত ও ‘বাঙালি’ পরিচয়ে সম্মানিত করে ‘বাঙালা’ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

প্রায় অর্ধ শতাব্দী আগে ১৯৭১ সালে ইসলামের নামে এই বর্বরের দল একইভাবে বিদ্বেষবশে পাক-হানাদার বাহিনীর সারথি হয়ে বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে দহন, ধর্ষণ ও গণহত্যার উন্মত্ততায় মেতে উঠেছিলো, যদিও শেষ পর্যন্ত বাংলার মুক্তিবাহিনীর হাতে এই বর্বর ও তাদের প্রভুদের পরাজয় ঘটেছিলো। এটি অতি দুঃখের বিষয় যে, আজ ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’র নামে মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষাবিরোধী আওয়ামী বাকশালী কুচক্র ইসলামের নামে ওই বর্বর শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাঙালি জাতির ভাষিক-সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয়কে এক সাংঘাতিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এই বাকশালী চক্রই আবার অন্যদিকে, কুটিল বর্বর হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের কাছে বাংলার স্বার্থ ও শক্তিকে জলাঞ্জলি দিয়ে বিশ্বপরিম-লে ১৯৭১ সালের বিজয়ী বীর বাঙালি জাতিকে এক দুর্বল ও পরনির্ভর জনগোষ্ঠীতে পরিণত করেছে। কোথাও কোনো আলো দেখা যাচ্ছে না। এক ঘন তমসা যেন বাংলা ও বাঙালি জাতিকে আচ্ছন্ন করে রয়েছে। এভাবে চলতে পারে না। এর অবসান ও নিরসন প্রয়োজন। ১৯/০৩/২০২০, ল-ন, ইংল্যা-

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়