মঞ্জুরুল আলম পান্না: করোনাভাইরাস নিয়ে যে কী পরিমাণ আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে, এই ভাইরাসকে কেন্দ্র করে গভীর কোনো ষড়যন্ত্র যে অনেক বেশি চলছে, তা পবিত্র আজানের বাণী পরিবর্তনের ঘটনাতেই বোঝা যায়। কুয়েত, আরব আমিরাতসহ বেশ কয়েকটি দেশে এরই মধ্যে আজানের ভাষাতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এসব দেশে আজানের ‘হাইয়্যা লাস সালাহ’ (নামাজের জন্য এসো) এর জায়গায় উচ্চারণ করা হচ্ছে ‘আস সালাতু ফি বুয়ুতিকুম’ (ঘরে নামাজ আদায় করো)। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মসজিদে জমায়েত হয়ে নামাজ নিষিদ্ধ করা হলো। এটাকে মেনে নিতে রাজি আছি। কিন্তু পবিত্র আজানের ভাষাতে পরিবর্তন আনা হবে কোন্ যুক্তিতে? এর কোথাও তো বলা নেই যে, ‘নামাজের জন্য মসজিদে এসো’।
‘হাইয়্যা লাস সালাহ ‘এর অর্থ তো ‘নামাজের জন্য এসো’। অর্থাৎ নামাজের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে এখানে। অথচ সেখানেও পরিবর্তন। সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। এতে বরং ইসলামকে বিতর্কিত করা হলো। আর এখানেই আমার মতো মূর্খের সন্দেহটা আরও বেশি হয় যে, করোনাভাইরাসকে নিয়ে সারাবিশ্বে এক নতুন খেলা শুরু হয়েছে। যতোটা এর ভয়াবহতা নয়, তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি ভয়াবহতা প্রমাণের চেষ্টা করে পৃথিবীকে থমকে দিয়ে বিশেষ কোনো গোষ্ঠী কঠিন খেলায় মেতেছে। আজানের বাণী পরিবর্তনের মতোই বিশ্বব্যাপী অনেক অপ্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে শুধু করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষের মাঝে মাত্রাতিরিক্ত ভীতি সৃষ্টির জন্য। ফেসবুক থেকে