শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও ভবিষ্যতমুখী: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২০, ০৮:০০ সকাল
আপডেট : ১৮ মার্চ, ২০২০, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশের কোনো এলাকাকে যদি লকডাউন করা লাগেই, সেক্ষেত্রে আগে থেকে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি চেক করা জরুরি

আরিফ জেবতিক: কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইনের অনুরোধ করলেই সে নিজে নিজে ১৪ দিন ধরে বাসায় বসে থাকবে, এমনটা অধিকাংশের বেলাতেই হবে না। এখানে কিছু কাজ করা যেতে পারে। ১. মিডিয়ার মাধ্যমে ঘোষণা দেওয়া দরকার যে যারা গত ১৪ দিনের মধ্যে আক্রান্ত দেশগুলো থেকে এসেছেন, তাদের সঙ্গে যাতে আত্মীয়-স্বজনেরা দেখা-সাক্ষাৎ না করেন এবং তারা যাতে বাইরে বের হয়ে ঘোরাফেরা না করেন, সেটি যাতে এলাকাবাসী নজর রাখেন। এটা করলে একটা কমিউনিটি চাপ তৈরি হবে। সাধারণ লোকজন নিজেদের উপর আসন্ন বিপদটুকু বুঝতে পারছেন, তারা তখন এলাকায় নজরদারি করবে। ২. হোম কোয়ারেন্টাইনের জন্য এখন পর্যন্ত মাত্র হাজারখানেক লোককে বলা হয়েছে। সেটা হয়তো বেড়ে বড়জোর দুই হাজার লোক হতে পারে। স্থানীয় থানা ও প্রশাসনকে বলে দেওয়া যেতে পারে যে এই ২ হাজার লোকের বাসায় সার্বক্ষণিক পাহারা বসাতে। এতে আমাদের পুলিশ ও আনসার বাহিনীর হয়তো পাঁচ হাজার লোককে আগামী ১৪ দিন ডেপ্লয় করতে হবে। কিন্তু এতে করে গোটা জাতি হয়তো বড় আকারের মহামারী থেকে রক্ষা পাবে। ৩. তিনজন লোক আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে আমরা জেনেছি। কথা হচ্ছে এই তিনজন লোক আগে যাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাদের কি মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে?

৪. ঢাকা এবং আশপাশে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার অনেকগুলো ট্রেইনিং সেন্টার আছে। এই ট্রেইনিংগুলো আপাতত সাসপেন্ড করে এই আবাসন সুবিধাগুলোকে আপাতত ইতালি বা অন্যান্য বড় উপদ্রুত এলাকা থেকে আসা লোকজনকে কোয়ারেন্টাইন করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। ৫. যদি কোনো কারণে দেশের কোনো এলাকাকে লকডাউন করা লাগতেই পারে, সেক্ষেত্রে আগে থেকেই খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি চেক করা জরুরি। সব এলাকার খাদ্য গুদামগুলোর সরবরাহে সমন্বয় প্ল্যান করা না থাকলে সেটি করে ফেলা দরকার। বিশেষ করে রমজান মাসের সময় কোনো দুর্যোগ হানা দিলে দুর্ভোগ চরমে উঠবে। ৬. ঈদ উপলক্ষে যেসব প্রবাসীরা দেশে আসার পরিকল্পনা করছেন তাদের আগাম বার্তা দেওয়া উচিত যে, এই মুহূর্তে ভ্রমণ তাদের নিজেদের জন্য, তাদের পরিবার ও দেশের জন্য বিপজ্জনক হবে তাই এ রকম ভ্রমণ পরিকল্পনা ত্যাগ করাই ভালো। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়