আবুল বাশার নূরু:[২] সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশও এখন করোনাভাইরাস আতঙ্কে। দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোই নানারকম সচেতনতা এবং সতর্কতা বার্তা দিচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠামালা পুনর্বিন্যাস করেছে সরকার। মহান স্বাধীনতা দিবস, ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আলোচনাসভা স্থগিত করেছে আওয়ামী লীগ। দেশের এমনকি বিশ্বব্যাপী এই ক্রান্তিকালে একেবারে নিবর রয়েছেন আমাদের দেশের শান্তিতে নবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
[৩] তাকে বাংলাদেশের কোনো সংকটেই পাশে পাওয়া যায় না। সারাবিশ্ব ঘুরে তিনি সামাজিক ব্যবসার পক্ষে প্রচারণা করছেন, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরির কাজ করছেন।
[৪] যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়ার সময়ে তিনি নীরব ছিলেন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনকে প্রতিহত করা এবং সেই নির্বাচন পরবর্তী বিরোধীদলের সহিংস কর্মসূচি চলাকালেও নিরব ছিলেন ইউনূস। শিক্ষার্থীদের সড়ক আন্দোলনে সারা দেশ যখন অচল হয়ে পড়েছিল তখনও তিনি ছিলেন নিরব।
[৫] ব্যাপক নিপিড়নের মূখে মিয়ানমার থেকে যখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল তখনও অমানবিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানাননি ইউনূস।
[৬] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লীতে আগুন, রাঙামাটিতে লংগদু উপজেলায় আদিবাসীদের বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ, পাহাড় ধসে প্রাণহানীসহ অকাল বন্যায় যখন হাওরের লাখ মানুষ মানবেতর জীবন কাটান তখনও পাশে পাওয়া যায়নি ড. ইউনূসকে।
আপনার মতামত লিখুন :