ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] কোভিড-১৯ প্রতিরোধে জনসমাগমস্থলে না যাওয়া, করমর্দন না করাসহ নানা বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে মানুষকে। ইতিমধ্যে এর প্রভাবও পড়েছে রাজধানীতে। বেশিরভাগ লোকই করমর্দন এড়িয়ে চলছেন। তবে উঠতি বয়সী যুবকদের মধ্যে আরেকটি ধারণা দেখা দিয়েছে। তা হলো- এ্যালকোহলের কারণে করোনা ভাইরাস আক্রমন করতে পারে না। এমন প্রচারণায় রাজধানীর মদের বারগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে ভীড় বেড়েছে। এসব ক্রেতাদের বেশিরভাগই যুবক। রাজধানীর বেশ কয়েকিট বার ঘুরে এ অবস্থা লক্ষ করা গেছে।
[৩] বিষয়টি স্বীকার করে একাধিক বারের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে সাধারণ ক্রেতাদের চেয়ে বেশি ক্রেতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই যুবক। বিভিন্ন সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম থেকে তারা জেনেছেন, করোনা এড়াতে এ্যালকোহলের ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া যারা পান করেন তাদের ক্ষেত্রে আরো বেশি উপকার। অবশ্য বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের মদে সাধারণত ৪২-৪৩% এ্যালকোহলের মাত্রা দেখানো হয়। আর দেশি কেরু কোম্পানীর মদে এর মাত্রা আরো বেশি রয়েছে। তাই দেশি মদের দিকেই ঝুঁকছে বেশিরবাগ নিয়মিত মদ পিপাসুরা।
[৪] অন্যদিকে এ্যালকোহল পান করলে নাকি করোনা বাসা বাঁধতে পারে না শরীরে। এমন ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে ইরানে প্রাণ গেলো ৪৪ জনের। মিথানলের বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। চীনের বাইরে যে তিনটি দেশে করোনাভাইরাস ভয়াবহ ধারণ করেছে ইরান সেগুলোর একটি। ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনা আটকাতে পারে অ্যালকোহল- এমন গুজবে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই মিথানল খেয়েছিলেন তারা। মাত্রাতিরিক্ত মিথানল পেটে পড়লে লিভারের ক্ষতি হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তো মৃত্যুও ঘটে, এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।