সালেহ্ বিপ্লব : বহুদিন ধরেই পরিবেশবান্ধব নির্মাণ শিল্প নিয়ে আলোচনা চলছে তুমুল। ইট সিমেন্টের গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়ে আসার জন্য গবেষণা চলছে বহুদিন ধরে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত জিনিসের তালিকায় সিমেন্ট রয়েছে দ্বিতীয় নম্বরে। সারাবিশ্বে নিঃসৃত গ্রীন হাউস গ্যাসের ৮ শতাংশ জন্ম নেয় সিমেন্ট দিয়ে কংক্রিট তৈরির ফলে। ইয়ন, কন্সট্রাকশন উইক অনলাইন, দ্য ন্যাশনাল
সংযুক্ত আরব আমীরাত উদ্ভাবন করেছে অত্যন্ত কম খরচে ভবন নির্মাণের কৌশল। থ্রিডি প্রিন্টারের সাহায্যে ভবন বানাতে খরচ কমে আসে অর্ধেকের বেশি। দুবাইয়ে আরো আগেই ৩১ ফিট লম্বা একটি থ্রিডি প্রিন্টেড দোতলা বাড়ি বানানো হয়েছে। ৬ হাজার ৮৮৯ স্কয়ার ফিট জায়গার উপর নির্মিত বাড়িটির কংক্রিটের দেয়ালগুলো তৈরি করা হয়েছে থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহার করে।
প্রচলিত নিয়মে এই আকারের একটি বাড়ি নির্মাণে কাজ করেন ৩০ শ্রমিক। কিন্তু থ্রিডি প্রিন্টেড বাড়ি নির্মাণে কাজ করেছেন ১৫ শ্রমিক। ইট সিমেন্টে এমন একটি ভবন বানানোর আনুমানিক খরচ ৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। থ্রিডি প্রিন্টে খরচ পড়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ডলারের কাছাকাছি। খরচ বাঁচানোর পাশাপাশি আবর্জনাও ৬০ শতাংশ কম তৈরি হয়।
একই ভাবে তৈরি হয়েছে দুবাই ফিউচার ফাউন্ডেশনের সাময়িক কার্যালয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইর শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশীদের আগ্রহে এটি নির্মাণ করা হয়। তিনি বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই থ্রিডি ভবন নির্মাণে নেতৃত্ব দেবে আরব আমীরাত। আর সেই সময়ের মধ্যেই দেশটির ২৫ ভাগ ভবন হবে থ্রিডি প্রিন্টারে নির্মিত। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ