ফরহাদ টিটো: ‘এই সিরিজের পর ঘোষণা করা হবে নতুন অধিনায়কের নাম’... কথাটা যদি এভাবে বলে থাকেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট সাংবাদিক সম্মেলনে তা না বললেও পারতেন। এটা বর্তমান অধিনায়কের জন্য অসম্মানজনক মনে হতে পারে। পরের সিরিজে কে অধিনায়ক হবেন তা জানার জন্য নিশ্চয়ই সারা ক্রিকেট দুনিয়া না খেয়ে না ঘুমিয়ে বসে ছিলো না। জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর মাশরাফি আর অধিনায়ক থাকছেন না এটা মাশরাফির মুখ দিয়ে বলালেই বেশি সুন্দর ও সম্মানজনক হতো। যেমনটা করা হয়েছিলো শ্রীলংকার মাঠে টি-টোয়েন্টি থেকে তার আকস্মিক অবসর ঘোষণার সময়। ওডিআই অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে অথবা জাতীয় দল থেকে অবসরের ব্যাপারে মাশরাফির বিলম্বিত সিদ্ধান্ত বিতর্ক তৈরি করেছিলো আমাদের ক্রিকেট অঙ্গনে সন্দেহ নেই তবে তাকে তো এভাবে অপমানও করতে পারি না আমরা। জানি, কেউ কেউ বা অনেকেই বলবেন বিশ্বকাপ চলার সময় বা তার ঠিক পরই অবসর নিয়ে নিলে এই পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না হয়তো মাশরাফিকে। কথাটার সঙ্গে আমি একমত অনেকাংশে তবে রিটায়ার যেহেতু করেনইনি তিনি... ‘তাকে বাদ দেওয়া হচ্ছে’ ইঙ্গিতে অথবা একটু ঘুরিয়ে কথাটা ঘোষণা দেওয়ার কি দরকার ছিলো খুব? বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিসিবি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তার চাইতেও বেশি ক্ষমতা বিসিবি প্রেসিডেন্টের।
এই ক্ষমতাকে অনেক ভালো কাজে লাগিয়েছেন তিনি অতীতে। কিন্তু মাঝে মধ্যে এই ক্ষমতার ব্যবহার বুঝি অপব্যবহার হয়ে যায় প্রচ-ভাবে। যা ঢেকে দেয় আগে করা তার কিছু ভালো কাজের কৃতিত্ব । ম্যাশের বিদায়টা সুন্দর হোকÑ অধিনায়কত্ব থেকে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। আমাদের ক্রিকেটে এই মানুষটার অবদান এতো তাড়াতাড়ি ভুলে যাওয়া অন্যায়। অকৃতজ্ঞতাও। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কেউ কোনো মন্তব্য করবেন না প্লিজ। ফেসবুক থেকে