শঙ্কর মৈত্র : কয়েকদিন আগের কথা। দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিকে খবরে হেডলাইন করলো, ভারতের আসামে সব মাদ্রাসা বন্ধ করে দিচ্ছে সরকার। নিউজটা পড়ে দেখলাম আসাম রাজ্যে সরকার পরিচালিত মাদ্রাসা ও টোলে সরকার আর খরচ দেবে না। কারণ এতো এতো ধর্মের মধ্যে শুধু হিন্দু ও ইসলাম ধর্মের শিক্ষার জন্য সরকার অর্থ খরচ করলে আরও যেসব ধর্ম রয়েছে তাদের প্রতি বৈষম্য হবে। ব্যক্তিগত বা বেসরকারি খরচে কেউ মাদ্রাসা বা টোল বা কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান চালালে সরকার বাধা দেবে না। আসাম সরকারের যুক্তিটি আমার বেশ ভালো লেগেছে।
আমি যে প্রসঙ্গে আলোচনার সূত্রপাত করছি সেটা হলো খবরে আছে সরকার মুসলমানদের মাদ্রাসা এবং হিন্দুদের টোলে আর খরচ দেবে না। কিন্তু আমাদের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় হেডলাইন হলো, ভারতে মাদ্রাসা বন্ধ করে দিচ্ছে সরকার। পাঠক আগে হেডলাইনই পড়ে। কিন্তু এমন খ-িত হেডলাইনের ফলে মানুষ বিভ্রান্ত হবে, এটাই স্বাভাবিক। বিভিন্ন টিভিতেও দেখলাম এ ধরনের স্ক্রল দেয় হয়। মানুষকে বিভ্রান্ত করা, ভুল তথ্য দেওয়া, রাতারাতি জনপ্রিয়তা পাওয়ার চেষ্টায় উসকানিমূলক নিউজ দিয়ে সুড়সুড়ি দেওয়া সংবাদমাধ্যমের কাজ হতে পারে না। এটা কোনো সাংবাদিকতাও হতে পারে না। অথচ এ ধরনের খ-িত নিউজ, সুড়সুড়ি দেওয়া নিউজ অহরহই চলছে । মনে হয় নেগেটিভটাই শুধু নিউজ। এই নেগেটিভ মানসিকতা থেকে সাংবাদিকতাকে বের করে আনতে হবে। সমালোচনা করা আর নেতিবাচক ভুল তথ্য দেওয়া এক নয়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :