শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৯:৫৬ সকাল
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৯:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ছয়ত্রিশ বছরে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

মাহফুজ নান্টু,কুমিল্লা প্রতিনিধি: আজ একুশ ফেব্রুয়ারী। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলা ভাষার জন্য প্রানোৎসোর্গ করা বীর শহীদদের প্রতি শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অপর্ণ করা হবে আজ।কুমিল্লার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা জানাবে কুমিল্লা টাউনহলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। তাই পরিচ্ছনতার পাশাপাশি রং তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি। গত ৩৬ বছর ধরে টাউন হলের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কুমিল্লা জেলার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছেন।

কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অভিবাধন সম্পাদক সাংবাদিক আবুল হাসানাত বাবুল জানান,কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজের সাথে রানীর দিঘীর পাড়ে ১৯৫২ সালে প্রথম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার স্থাপিত হয়। মূলত ১৯৫৪ সাল থেকে ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থীরা রানীর দীঘির পাড়ের শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেন। তখন ওই শহীদ মিনারটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসেবে কুমিল্লার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ জানতেন। ভাষার মাসে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক এসে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতেন।

তারপর ১৯৮৭ সালে কুমিল্লা টাউনহলে শহীদ মিনার তৈরী করা হয়। পরের বছর অর্থ্যাৎ ১৯৮৮ সাল থেকে টাউনহলের শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে সম্মান জানানো শুরু হয়।তারপর থেকেই কুমিল্লার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসেবে বিবেচিত হয় টাউনহলের শহীদ মিনারটি।
কুমিল্লার বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব বদরুল হুদা জেনু জানান, আশির দশকের শেষ দিকে কোথায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হবে তা নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা হয়। যার মধ্যে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গন,নগর উদ্যানের কাছে যেখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল তৈরী করা হয়েছে সেখানেসহ টাউনহলে। কুমিল্লা টাউনহলে করার কারন ছিলো স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যেন মিনারটিকে ভেঙ্গে ফেলতে না পারে সে জন্য টাউনহলের জায়গাটি বেছে নেয়া হয়। এ কারনেই সর্ব সম্মতিক্রমে টাউনহলে প্রস্তাব অনুমোদন পায়। কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য আনসার আহমেদ জেলা পরিষদ থেকে শহীদ মিনার নির্মাণে অর্থায়ন করেন। মূলত তখন থেকেই কুমিল্লা টাউনহলের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতি বছর একুশে ফেব্রæয়ারীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

সেই থেকে ৩৬ বছরের পথ চলায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছেন। আজও কুমিল্লা টাউনহলের কেন্দ্রীয় মহীদ মিনারটিকে পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। তুলি আঁচড়ে বাংলা ভাষার নকশায় নান্দনিক করে তোলা হয়েছে। এমন নান্দনিকতা আয়োজনে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সমবেত কন্ঠে গাওয়া হবে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়