আলআমিন ভূঁইয়া : ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে যারা বুকের রক্ত ঢেলে দিতে কার্পণ্য করেননি, একুশের প্রথম প্রহর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় জাতির পক্ষে তাদের স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এসময় বীর শহীদদের স্মরণে তারা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের নেতাদের পক্ষ থেকে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এরপর একে একে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, তিন বাহিনী প্রধান, পুলিশের আইজি, র্যাব মহাপরিচালক, উপাচার্যের নেতৃত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সংগঠন।
রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর সাধারণ মানুষের ঢল নামে শহীদ মিনারে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে ফুলে ফুলে ভরে উঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালির আত্মত্যাগের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান শহীদ দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
ভাষা আন্দোলনের এ গৌরবময় অর্জন যুগে যুগে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে যাবে আত্মসম্মানে বলীয়ান হয়ে পৃথিবীর বুকে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব