লুৎফর রহমান হিমেল : অন্যান্য দেশে রপ্তানি পণ্য হয় খনিজ তেল, তুলা, স্বর্ণ ইত্যাদি। আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য হয়ে গেছে টাকা। বছরে লাখো কোটি টাকা দেশ থেকে রপ্তানি হয়ে বাইরে যাচ্ছে। এই রপ্তানিকে অবশ্য দুর্জন সমালোচকরা বলে থাকেন পাচার। এটা গত তিন দশক ধরেই চলছে। কেউ থামানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল স্পষ্ট করে বলেছে, বাংলাদেশে ঋণখেলাপির পরিমাণ প্রায় দুই লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এই টাকার বেশিরভাগই বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। এটা রোধ করতে হবে। এই চর্চা থামাতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিডিয়ার একটা ভূমিকা থাকতে পারতো। কিন্তু বেশিরভাগ মিডিয়ার সম্পাদক/ শীর্ষ ব্যক্তিরা অর্থ পাচারকারীদের অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করে থাকেন। ফলে মিডিয়ার ভূমিকা এখানে থাকবে না এটাই স্বাভাবিক।
আবার শুধু রাজনীতিকদের দোষ দিয়েও লাভ নেই। আমরা অভিজ্ঞতায় দেখেছি, রাজনৈতিক কোনো আন্দোলনে বিশেষ রাজনৈতিক দল আন্দোলনের সুফল ঘরে তুলে বসে থাকে। বরং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোরদার একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এই সামাজিক আন্দোলনের জন্য শিল্প-সাহিত্যিকদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের নাটক, চলচ্চিত্র, গানে, সাহিত্যে দুর্নীতি ঠেকানোর কনটেন্ট থাকতে হবে। দুর্নীতি ঠেকাতে না পারলে দেশ পঙ্গু হয়ে পড়বে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :