সওগাত আলী সাগর : ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাটকারী প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নর। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে এই তথ্য জানিয়েছেন বলে বণিকবার্তার খবরে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা যখন আদালতকে কোনো তথ্য দেন, তখন তিনি তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই তা করেন এটাই স্বাভাবিক। ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নরের বিরুদ্ধে এমন ভয়াবহ অভিযোগ তোলার আগে অ্যাটর্নি জেনারেল নিশ্চিত অবশ্যই হয়েছেন।
রাষ্ট্রের হাতে যখন এমন অকাট্য প্রমান আছে তখন সেই ডেপুটি গভর্নরের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা কিন্তু আমরা জানি না। সরকার আসলেই কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন কিনা তাও আমাদের অজানা। ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের উপর নাগরিকদের আস্থা এবং নির্ভরতা সন্দেহাতীত রাখার স্বার্থেই এই ডেপুটি গভর্নরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আরেকটা কথা, প্রশান্ত হালদার দেশত্যাগ করেছেন বিমানবন্দর দিয়ে, অথব অন্য কোনো সীমান্ত দিয়ে। বিমানবন্দর কিংবা সীমান্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কীভাবে প্রভাব বিস্তার করলেন তাও পরিষ্কার হওয়া দরকার। ইমিগ্রেশন, সীমান্তরক্ষী, পুলিশের সেখানে কী ভূমিকা ছিলো তাও দেখা দরকার। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :