মশিউর অর্ণব: মামলার শুনানির সময় মেয়েটির বাবা দাবি করেন, মৃত্যুর আগে তিনি নিজের মেয়ের সুস্থতা কামনায় উপবাস করেছিলেন। আদালতকে তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল ঈশ্বর ওকে সুস্থ করে দেবেন।’ ডয়েচে ভেলে
ঐ জার্মান দম্পতির সন্তানের সংখ্যা মোট আট জন। সন্তানদের নিয়ে কয়েকবছর আগে জার্মানি থেকে অস্ট্রিয়ায় চলে আসেন তারা। স্কুলে না পাঠিয়ে সন্তানদের ঘরে লেখাপড়া করাতে চান বলেই অস্ট্রিয়ায় বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন ওই দম্পতি।
অগ্নাশয়জনিত রোগে মারা যাওয়া মেয়েটি প্রথম অসুস্থ হয়েছিল ২০১৭ সালে। চিকিৎসা না করানোয় সুস্থ হচ্ছিলনা মেয়েটি। প্রতিবেশীরা তখন বিষয়টি স্থানীয় শিশু সুরক্ষা সংস্থাকে জানালে তারা জরুরি ভিত্তিতে মেয়েটিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বলেন। সেসময় ওই জার্মান দম্পতি তাদের মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নেয়ার আশ্বাস দিলেও পরবর্তী দুই বছর পর্যন্ত তাকে আর ডাক্তারের কাছে নেয়া হয়নি।
অবশেষে ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মেয়েটি প্রচণ্ড পেটের ব্যথায় মারা যায়, যেটিকে তার বাবা-মা ঋতুস্রাবের ব্যথা ভেবেছিলেন। সম্প্রতি এই জার্মান দম্পতিকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে অস্ট্রিয়ার ক্রেমস আন ডেয়ার ডোনাউ এর আদালত।
আপনার মতামত লিখুন :