বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে জুলাই-আগস্টে ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন। সেসব অভিযোগ আমলে নিয়ে আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—এক. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা আসামি সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের অনুমোদনক্রমে ও জ্ঞাতসারে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী আসামি জুনাইদ আহমেদ পলক ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস প্রদান করেন—যাতে তিনি উল্লেখ করেন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ মার্চ ছাত্র শিক্ষকদের গণহত্যা করেছে রাজাকাররা, সেই রাজাকারদের পক্ষে রাজাকারের সন্তান বলে স্লোগান দিতে লজ্জা করে না?’’
অনুরূপভাবে তিনি আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার প্রতিবাদী রূপক অর্থে বলা ‘রাজাকার’ স্লোগানের বিরুদ্ধে উসকানিমূলকভাবে একই দিন রাত ১২টা ৫৪ মিনিটে ক্যাপশনসহ একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবির ক্যাপশনে লেখেন, ‘‘তুমি কে? আমি কে? বাঙালি, বাঙালি। তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা।’
পরবর্তীকালে রাত ১টা ১৫ মিনিটে তিনি আরও একটি ছবিসহ পোস্ট শেয়ার করেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার। তোরা যারা রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়।’
আসামি সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশ, অনুমোদন ও জ্ঞাতসারে আসামি জুনাইদ আহমেদ পলক প্রদত্ত এই তিনটি উসকানিমূলক ফেসবুক স্ট্যাটাস প্রদানের কারণে ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই রাতে এবং ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগসহ আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী আক্রমণ শুরু করে। যার ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অগণিত শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের চিকিৎসায় বাধা প্রদান করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের গুরুতর জখম করা হয়। নিরীহ নিরস্ত্র শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর নির্যাতন শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এসময় সারা দেশে আবু সাঈদসহ ১৪০০-এর বেশি আন্দোলনকারীদের হত্যা করা হয় এবং ২৫ হাজারের বেশি ছাত্র-জনতাকে গুরুতর জখমসহ অন্যান্য অপরাধ সংঘটন করা হয়—যা এই দুই আসামি নির্দেশ/জ্ঞাতসারে/সুযোগ তৈরি করে দেওয়া মতে সংঘটিত হয়েছে।
আসামি সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় ও আসামি জুনাইদ আহমেদ পলক তার অধীনস্থদের অপরাধ সংঘটনে বাধা প্রদান করেননি বা অপরাধ সংঘটনকারীদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
দুই. শেখ হাসিনা ও আসামি সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের আদেশ, নির্দেশ, অনুমোদন ও জ্ঞাতসারে আসামি জুনাইদ আহমেদ পলক ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে লেথাল ওয়েপন ব্যবহারসহ আন্দোলনকারীদের নিজেদের মধ্যকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে, তাদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ বল প্রয়োগের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের আটক, নির্যাতন ও হত্যার নির্দেশ কার্যকর করার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য প্রথমে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে ও পরে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেন। এরপর ইন্টারনেট বন্ধ সংক্রান্তে মিথ্যা বিবৃতি প্রদান করে এবং ব্রডব্যান্ডসহ সকল ধরনের ইন্টারনেট সেবা এবং ফেসবুক, টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বেশ কয়েকটি অ্যাপস (ক্যাশ সার্ভারসহ) বন্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর কাছে জুলাই আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ভয়াবহ চিত্র আড়াল করে সারা দেশে সংঘটিত হত্যা, হত্যা প্রচেষ্টা, নির্যাতন এবং অন্যান্য অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেছেন।
ইন্টারনেট বন্ধের ষড়যন্ত্র ও সিদ্ধান্ত আসতো আসামি সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছে থেকে। সে তার মা শেখ হাসিনার সঙ্গে পরামর্শ করে ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন এবং তা আসামি জুনাইদ আহমেদ পলক বাস্তবায়ন করেন। ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই সালমান এফ রহমানের সঙ্গে এক কথোপকথনে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘কতটুকু অঘটন ঘটতে পারে, সেটার একটা বার্তা প্রধানমন্ত্রীকে পরিষ্কারভাবে আমাদের দেওয়া উচিত এবং সেটা কালকে অ্যাডভাইজার মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করছি। উনি তো সবগুলো টেকনোলজি সম্পর্কে একদম লেটেস্ট সবকিছু জানেন। তো সেটা জেনে উনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। আমি কালকে রাতে রিকোয়েস্ট করেছিলাম, উনি কথা বলেছেন। তখন আমাকে বলছে যে ‘তুমি লিস্ট পাঠাও কোন কোনটা আপাতত তুমি চাচ্ছো ব্লক রেখে আমাদের পসিবলটা করার।’ আমি লিস্ট পাঠিয়েছি, উনি ৮টা অ্যাপ্রুভ করে দিয়েছেন। এখন উনি বলেছেন—‘তুমি রেডি থাকো তোমার পসিবল সবকিছু সক্ষমতা নিয়ে, যখন মা বলেন সিগন্যাল ইয়েস, তখন ওপেন, যখন বলবে নো, তখন ব্লক, এই বন্ধ।’
শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা আসামি সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের আদেশ, নির্দেশ, অনুমোদন ও জ্ঞাতসারে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা আসামি জুনাইদ আহমেদ পলক শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী হয়ে উল্লিখিত হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই দিবাগত রাত অর্থাৎ ১৫ জুলাই রাত ১২টা ৪৭ মিনিট থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশের ৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এবং ১৬ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা ৩৯ মিনিট থেকে দেশের ৫৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিটিআরসির মাধ্যমে মোবাইল ইন্টারনেট-সেবা বন্ধ করে দেয়। তিনি ২০২৪ সালের ২৮ জুলাই এনটিএমসির মাধ্যমে ফেসবুক, টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বেশ কয়েকটি অ্যাপস (ক্যাশ সার্ভারসহ) বন্ধ করে এবং ১৮ জুলাই সন্ধ্যা ৭টা থেকে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তার অধস্তন বিটিআরসি ও বিএসসিপিএলসি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন। ওই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ আইটিসি (ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্টেরিয়াল ক্যাবল), অপারেটরগুলোকে তাদের ‘আপস্ট্রিম ব্যান্ডউইথ’ বন্ধ করা নির্দেশ প্রদান করেন এবং বিএসসিপিএলসি কর্তৃপক্ষ তাদের কক্সবাজার ও পটুয়াখালীর সাবমেরিন ক্যাবলের ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে আপস্ট্রিম সার্ভিস বন্ধ করেন। উল্লিখিতভাবে ইন্টারনেট-সেবা বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার পরস্পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তারা মোবাইল সিম ব্যবহার করে কথা বলতে বাধ্য হয়। ফলে তাদের অবস্থান এবং পরিকল্পনা সহজে শনাক্ত করে ব্লকরেইডের মাধ্যমে সারা দেশে গ্রেফতার ও দমনাভিযান অব্যাহত থাকে। আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশ, বিজিবি, সশস্ত্র যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এবং ১৪ দলীয় জোটের ক্যাডাররা মারণাস্ত্র ব্যবহার করে, গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যা, জখম, নির্যাতন ও আটকের মাধ্যমে আন্দোলন নির্মূলের প্রচেষ্টা চালায়।
পূর্ব ঘোষিত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি প্রতিহত করতে, তাদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ করতে এবং আক্রমণের নৃশংসতা বিশ্ববাসীর কাছে আড়াল করতে আসামি জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে বিটিআরসি ও বিএসসিপিএলসি পুনরায় সারা দেশের ইন্টারনেট-সেবা বন্ধ করে দেন। সেই সঙ্গে তিনি শেখ হাসিনার ওই কর্মকাণ্ডে সহায়তা করেছেন এবং সম্পৃক্ত থেকেছেন।
এ সময় সারা দেশে ১৪০০-এর বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে গুরুতর জখম করা হয়েছে। নিরীহ-নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর এই আক্রমণ চালানো হয়েছে ড্রোন ব্যবহার করে, আন্দোলনকারীদের শনাক্ত করে। হেলিকপ্টার উড্ডয়ন করে এসএমজি ও চায়না রাইফেলসহ অন্যান্য মারণাস্ত্র থেকে গুলি করে। এমনকি মৃত্যুর পর অনেকের লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে, আহতদের চিকিৎসা প্রদানে বাধা প্রদান করা হয়েছে, ডাক্তারদের মৃত্যুর কারণ পরিবর্তনে বাধ্য করা হয়েছে। নিহতদের অনেককে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। দাফনে বাধ প্রদান করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার মতো অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। জনগণ যাতে উল্লিখিত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন জানতে না পারে তার জন্য এবং উল্লিখিত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্যে আসামি জুনাইদ আহমেদ পলক মৌখিক এবং এসএমএস-এর মাধ্যমে ইন্টারনেটসেবা বন্ধ করে দেন। যার ফলে সারা দেশে মানুষ হত্যা ও নির্যাতন ত্বরান্বিত হয়। যা ছিল ব্যাপক মাত্রায় পদ্ধতিগতভাবে লক্ষ্য নির্ধারণপূর্বক সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ।
আসামি সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় ও আসামি জুনাইদ আহমেদ পলক তার অধীনস্থদের অপরাধ সংঘটনে বাধা প্রদান করেননি বা অপরাধ সংঘটনকারীদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
এরই ধারাবাহিকতায় উল্লিখিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অংশ হিসেবে আসামি সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় এবং জুনাইদ আহমেদ পলকের আদেশ/ নির্দেশ/ অনুমোদন/ জ্ঞাতসারে দেশব্যাপী ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ করার মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর কাছে জুলাই আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ভয়াবহ চিত্র আড়াল করে/ড্রোন ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অর্থাৎ বিজিবি ও পুলিশ ঢাকা মহানগরের বাড্ডা, রামপুরা, খিলগাঁও ও হাতিরঝিল থানা এলাকায় ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই গঙ্গাচরণ রাজবংশী (৫৬), রাসেল মিয়া (৩২)-সহ বর্ণিত ২৬ জনকে গুলি করে হত্যা এবং বহু সংখ্যককে গুরুতর জখম করে—যা আসামির নির্দেশ/জ্ঞাতসারে/সুযোগ তৈরি করে দেওয়া মতে সংঘটিত হয়েছে।
তিন. এরই ধারাবাহিকতায় উল্লিখিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অংশ হিসেবে আসামি সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় এবং জুনাইদ আহমেদ পলকের আদেশ/নির্দেশ/অনুমোদন/ জ্ঞাতসারে দেশব্যাপী ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ করার মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর কাছে জুলাই আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ভয়াবহ চিত্র আড়াল করে/ড্রোন ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের শনাক্ত করে মারণাস্ত্র ব্যবহার করে মানুষ হত্যা করেও আন্দোলন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে শেখ হাসিনার আওয়ামী সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে এবং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি প্রতিরোধের মরিয়া প্রয়াস হিসেবে ঢাকার উত্তরা এলাকায় আসামি সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় এবং জুনাইদ আহমেদ পলক তাদের অধীনস্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডারদের দ্বারা ৫ আগস্ট শিশু জাবির ইব্রাহীম (৬), সামাউল আমান নুরসহ বর্ণিত ৩২ জনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে এবং বহু সংখ্যককে গুরুতর জখম করে। যা আসামিদ্বয়ের নির্দেশ/জ্ঞাতসারে/সুযোগ তৈরি করে দেওয়া মতে সংঘটিত হয়েছে।
এদিকে প্রসিকিউশনের আনা এসব অভিযোগের শুনানি শেষে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।
এদিন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।
এ বিষয়ে প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘আমরা প্রসিকিউশন থেকে তিনটি অভিযোগ এনেছিলাম। ট্রাইব্যুনাল অভিযোগগুলো আমলে নিয়েছে। মামলার অন্যতম আসামি সজীব ওয়াজেদ জয় পলাতক। তাই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করি। পরে তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।’’
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পান বলেও জানান প্রসিকিউটর তামিম। উৎস: বাংলাট্রিবিউন।