ড. আসিফ নজরুল : তিনি করোনা আক্রান্ত প্রথম ব্রিটিশ নাগরিক। জানুয়ারির শেষদিকে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুর গ্রান্ড হায়াত হোটেলে আয়োজিত কনফারেন্সে। সেখানে আক্রান্ত হন করোনাভাইরাসে। ব্রিটেনে ফেরার পথে তিনি ফ্রান্সে একটি হলিডে রিসোর্টে যান। সেখানে তার থেকে সংক্রামিত হয় পাঁচজন ব্রিটিশ নাগরিক। তাদের একজন ৯ বছর বয়সী এক বালক ফ্রেঞ্চ শিখতে দুটো স্কুলে গিয়েছিলো। করোনার আশঙ্কায় স্কুল দুটো বন্ধ করা হয়েছে এখন। করোনাভাইরাসের ভয়াল গতি আর বিভিন্ন দেশের প্রস্তুতির খবর পড়ি আর ভাবি কী ভয়ংকর বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে এটি এ দেশে। আমার ভাবনা যুক্তিহীন নয়। করোনা চিহ্নিত করা, করোনা রোগীকে আলাদা করা এবং তাদের উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া কোথাও আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে কী? আছে কী এমন প্রস্তুতি নেওয়ার সদিচ্ছাটুকু?
অতীতে আগুন নেভাতে গিয়ে, মশার ওষুধ দিতে গিয়ে, গর্তে পড়া বাচ্চাকে উদ্ধার করতে গিয়ে এমনকি ঈদের চাঁদ খুঁজে বের করতে গিয়ে আমরা আমাদের অবিশ্বাস্য অদক্ষতার পরিচয় পেয়েছিলাম। আমার তাই ভয় হয় করোনা এলে, আসলে কিছু করতে পারবে না সরকার। বরং সর্দি-কাশি-জ্বর এ ধরনের অসুখ বলে উড়িয়ে দিতে চাইবে। এমনকি সম্ভব হলে এসব ‘গুজবের’ জন্য ‘বিএনপি-জামায়াতকে’ দায়ী করবে। ব্র্যাক, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, কমিউনিটি হাসপাতাল বা অন্য কেউ আপনাদের কী কিছু করার আছে? থাকলে এখনি শুরু করুন। ফেসবুক থেকে