শিরোনাম
◈ শিলিগুড়ি করিডর প্রসঙ্গে উসকানিমূলক মন্তব্য, ‘চিকেনস নেক’কে হাতি বানানোর ডাক সাধগুরুর ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হওয়ার খবরটি ‘গুজব’: খলিলুর রহমান ◈ এনিসিপিতে যোগ দিয়েই মুখপাত্র হলেন আসিফ মাহমুদ (ভিডিও) ◈ নির্বাচনি হলফনামায় জামায়াত আমিরের সম্পদের হিসাব প্রকাশ, ডুপ্লেক্স বাড়ি-নগদ ৬০ লাখ টাকাসহ যা আছে ◈ নির্বাচনকেন্দ্রিক বিশৃঙ্খলা হলে তাৎক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি বাহারুল আলম ◈ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের গুঞ্জন অস্বীকার করলো পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ◈ চলতি বছর সবচেয়ে বেশি দেশে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ◈ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর ঢাকার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করার ঘোষণা পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ ৩০ আসনে এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী যারা ◈ প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে ‘নেতৃত্ব পরিষদ’ গঠন

প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:২৭ সকাল
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:২৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাঙালির অগ্রযাত্রায় একুশের চেতনা

শামসুল ইসলাম : ফেব্রুয়ারি ভাষার মাস হিসেবে সমগ্র বিশ্বের নিকট পরিচিত। এই মাসে চেতনায় এবং শ্রদ্ধায় অবনত হয় সমগ্র জাতি ও বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রসমূহ।

জাতিগত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের সুদীর্ঘ পথপরিক্রমায় ১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলার জনগণের অস্তিত্ব ও ভাগ্যকে জুড়ে দেয়া হয়েছিল কৃত্রিম ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে। সে সময় পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা বাংলা হলেও  উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী।

১৯৪৮ সালে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেয়া হয়। ঠিক তখন বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বিক্ষোভ প্রতিবাদে গর্জে ওঠে পূর্ব বাংলার দামাল ছেলেরা।

১৯৪৯ থেকে ১৯৫১ সালের মধ্যে ক্রমান্বয়ে জোরালো হয়ে ওঠে বাংলা ভাষার মর্যাদা আদায়ের দাবী। একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলন এই বৈষম্য আর অপমানের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম সরব জবাব।

বাঙালির একুশে চেতনার বিশেষ দিক ছিল জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচার-প্রসার। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী নারী-পুরুষ বাংলা ভাষায় পাণ্ডিত্য অর্জন করবে।  প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষায় ব্যবহৃত হবে বাংলা।

দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও বাংলা ভাষার প্রচলন হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা ‘বাংলা’। কিন্তু সর্বস্তরে বাংলা প্রচলন এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রে বাঙালির হাতেই বাংলা ভাষা উপেক্ষার শিকার।

শিক্ষাঙ্গনে ও অফিস-আদালতে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, গণমাধ্যম ও বিজ্ঞাপনে ইংরেজি ভাষার দখলদারি ব্যাপক হারে আজ পরিলক্ষিত।

আজ আমাদের দেশে ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে বাংলার গুরুত্ব ক্রমেই কমছে। অন্যদিকে বিশ্বায়নের প্রভাবে আমাদের মানসিকতায় বিদেশিয়ানার প্রভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামকরণ বিদেশি ভাষায়, বিয়ে বা জন্মদিনের আমন্ত্রণপত্রে বিদেশি ভাষার ব্যবহার, দৈনন্দিন কাজর্কমে, কথা-বার্তায় বিদেশি ভাষা ব্যবহার, বিজ্ঞাপন ও বিজ্ঞপ্তিফলকে বিদেশি ভাষাকে অনেক গুরুত্ব দেয়া।

অনেকেই আমরা ভুলতে বসেছি, বাঙালির পরিচয়ের মূলভিত্তি তার ভাষা। অথচ বাংলা ভাষা যথাযথ গুরুত্ব না পেলে তার শক্তি একদিন ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাবে। সম্পাদনা: তিমির চক্রবর্ত্তী

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়