সালেহ্ বিপ্লব : করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করবে, এমন একটি ভ্যাকসিন এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে। তবে এটি খুব প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। বর্তমানে প্রাণীদেহে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামী তিন মাসের মাথায় মানবদেহে পরীক্ষা শুরু করা যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশা প্রকাশ করেছেন। তারপর আরো কয়েক মাস লাগবে এই ভ্যাকসিনের নিরাপদ ব্যবহার সম্পর্কে নিশ্চিত হতে। সিএনবিসি, রয়টার্স
লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের মেডিসিন বিভাগের মিউকোসাল ইনফেকশন এন্ড ইমিউনিটির প্রধান ড. রবিন শ্যাটক করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক উদ্ভাবনের জন্য কাজ করছেন একটি টিমের সঙ্গে। তারা এখন বিভিন্ন প্রাণীদের ওপর ওষুধটির প্রয়োগ করছেন। এই ধাপ সফল হলে কয়েক মাসের মধ্যেই মানুষের শরীরে প্রয়োগ করে পরীক্ষা চালানো হবে।
ভাইরাসটির প্রতিষেধক উদ্ভাবনের কাজ অংশ নিচ্ছে বেশ কয়েকটি গ্রুপ অব কোম্পানি, যাতে সামিল হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনসন এন্ড জনসন।
জনসন এন্ড জনসনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পল স্টফেলস বলেছেন, অন্তত এক বছরের আগে এই ওষুধ বাজারজাত করা সম্ভব হবে না।
করোনার ভ্যাকসিন আবিস্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটস অব হেলথ, দ্য ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস এবং দ্য ভ্যাকসিন রিসার্চ সেন্টার একযোগে কাজ করছে মডার্না গ্রুপের সঙ্গে। তারা আশা করছেন, প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা শেষে তিন মাসের মধ্যেই ভ্যাকসিনটি মানবদেহে পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।