শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:১৩ দুপুর
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:১৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চীন ফেরত ৩১২ জনকে হজক্যাম্পে ফ্লোরিংয়ে রাখার কারণ জানালেন চিকিৎসকরা

লাইজুল ইসলাম : শনিবার বিকেলে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, এত মানুষকে এত দ্রুত সময়ে রাখারমত আমাদের কাছে জায়গা ছিলো না। তাই হজক্যাম্পে ফ্লোরিং করে রাখা হয়েছে। তাছাড়া হজক্যাম্পের মত এত সিকিউর জায়াগ আর নেই। যেখানে কায়ারেন্টাইন করা যাবে।

ফ্লোরা বলেন, হজক্যাম্পে কোথাও খাট নেই। এখানে হাজিরা ফ্লোরিং করেই ঘুমান। তাই এত দ্রত সময়ের মধ্যে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া, আমরা এদের হাসপাতালে দিতে পারতাম। কিন্তু এই লোকগুলোর মধ্যে যদি কেউ করোনা বহনকারী হতো তবে সমস্যা হয়ে যেতো।

ডা. মীরজাদী বলেন, চীন থেকে আসা কারো শরীরেই এখনো করোনা পাওয়া যায়নি। তারপরও সবার সার্থের কথা চিন্তা করেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরীফুল সাজ্জাদ বলেন, ফ্লোরিং করার একটি কারণ হচ্ছে জার্ম যাতে রুমের মধ্যে স্থায়ী হতে না পারে। ফ্লোরগুলো প্রতি দিন খুব ভালো ভাবে পরিস্কার করা যাচ্ছে। এটি ছোয়াচের মত রোগ। তাই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরী।

তবে এসব বিষয়ে বেশ ভালো ধরণের বিড়ম্বনায় পড়েছে চীন থেকে আসা এই ৩১২ জন যাত্রী। শিক্ষার্থী বা যারা বড় তারা হয়তো সময় কাটাতে পারছেন। কিন্তু যারা ছোট তাদের জন্য বেশ সমস্যা শুরু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, পুরো ১৪ দিন এই রোগীদের রাখা হবে হজক্যাম্পে। এর আগে ছাড়ার কোনো সুযোগ নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়